Advertisement
১৯ মে ২০২৪

পরিষেবার দাবিতে বিক্ষোভ

রেল দফতরের কাছে বার বার দরবার করেও কোনও ফল হয়নি। শনিবার বিকালে দুবরাজপুর স্টেশনের বাইরে একটি প্রতীকী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেন দুবরাজপুর নাগরিক সমিতির সদস্যরা। ডিআরএমের (আসানসোল) কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে দুবরাজপুর স্টেশন ম্যনেজারের হাতে ফের পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন বিক্ষোভকারীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৪৯
Share: Save:

রেল দফতরের কাছে বার বার দরবার করেও কোনও ফল হয়নি। শনিবার বিকালে দুবরাজপুর স্টেশনের বাইরে একটি প্রতীকী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেন দুবরাজপুর নাগরিক সমিতির সদস্যরা। ডিআরএমের (আসানসোল) কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সমিতির পক্ষ থেকে দুবরাজপুর স্টেশন ম্যনেজারের হাতে ফের পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন বিক্ষোভকারীরা।

অণ্ডাল-সাঁইথিয়া শাখায় থাকা দুবরাজপুর স্টেশনটি ব্রিটিশ আমলের। বছর চারেক আগে শাখাটি ডবল লাইন ও বৈদ্যুতিকরণ হয়। তবে পরিকাঠামো উন্নত হওয়া এবং ওই শাখায় বহু দূরপাল্লার ট্রেনের যাতায়াত বেড়ে গেলেও দুবরাজপুর শহর তথা এলাকার মানুষের কোনও সুরাহা হয়নি। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কোনও ধরনের সংস্কার না হওয়ায় দুবরাজপুর স্টেশন যাওয়ার দুটি পথই চলাচলের অযোগ্য। দুবরাজপুর শহরের ৪০ হাজার নাগরিক ছাড়াও খয়রাশোল, রাজনগর, এমনকী লাগয়ো ঝাড়খণ্ডের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষও দুবরাজপুর স্টেশনের উপর নির্ভরশীল।

সমিতির সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ মিশ্র এবং সদস্য কিশোর অগ্রবাল, আল আফতাব, বিমান পালেরা বলছেন, দূরপাল্লার কোনও ট্রেন এখানে দাঁড়ায় না। দুটি ট্রেন (বনাঞ্চল এবং মালদা দীঘা)-এর স্টপেজের জন্য দীর্ঘদিন থেকে রেলের কাছে আনুরোধ জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। দুটি কলকাতা যাওয়ার ট্রেন, ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ও হুল এক্সপ্রেস থাকলেও সেই দুটি ট্রেনের সময়র পরিবর্তন জরুরি। তাছাড়া কলকাতায় গিয়ে কাজ সেরে ফিরে আসা কষ্টসাধ্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফুট ওভারব্রিজ থাকলেও এখনও শেড নেই। রেলকে আবেদন জানালেও আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেনি রেল। দুবরাজপুর স্টেশন ম্যানেজার, আসানসোল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার এমনকী পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছিল নাগরিক সমিতি। জিসি অগ্রবাল পূর্বরেলের জেনারেল ম্যানেজার থাকাকালীন, ২০১৩-র ডিসেম্বর মাসে তিনি বনাঞ্চল স্টপেজ ও রাস্তা সংস্কার নিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি।

দুবরাজপুরের স্টেশন ম্যানেজার সুশীলকুমার মণ্ডল বলেন, “ওঁদের দাবিপত্র সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেব। এর বেশি কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।” নাগরিক সমিতির হুঁশিয়ারি, তিন সপ্তাহ পরও দাবি না মানা হলে রেল অবরোধের কর্মসূচি নেবে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dubrajpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE