মাজারে চাদর চড়াতে গিয়ে ফকিরদের টাকা দিয়েছিলেন বীরভূম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই জেরে বীরভূম জেলা প্রশাসনের কাছে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলল তৃণমূল।
শুক্রবার ওই ঘটনার পরেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমরা এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করব।” বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ পাল্টা বলেন, “কোনও বিধিভঙ্গ হয়নি। ধর্মীয় স্থানে গিয়ে দক্ষিণা দিলে আদৌ নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয় না।” জয় বলেন, “আমি বিভিন্ন মাজারে গিয়ে চাদর চাপাই। এখানেও চাদর চাপাতে টাকা দিয়েছি।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে প্রথমে তারাপীঠ সংলগ্ন মনসা মন্দিরে পুজো দেন জয়। পরে বেলা ১২টা নাগাদ কাছেই ফুলিডাঙা মাজারে গেলে এক বয়স্ক ফকির তাঁকে চাদর চড়ানোর কথা বলেন। বিজেপি-র জেলা-সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরীর দাবি, “জয় ফকিরকে জানান, তিনি কলকাতা থেকে যে চাদর নিয়ে এসেছিলেন তা বৃহস্পতিবার পাথরচাপুড়ির মাজারে চাপিয়ে দিয়েছেন। ফকির বলেন, ‘আমাকে চাদরের মূল্য দিয়ে দিন। আমি চাদর, সিন্নি, আতর, ধূপ চাপিয়ে দেব।’ জয় সেই বাবদ দু’হাজার টাকা দক্ষিণা দেন। তার পর আমরা বেরিয়ে যাই।”
খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই বাধিয়ে দেয় জেলা তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন। টাকার সঙ্গে প্রচারের লিফলেটও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের রামপুরহাট ২ ব্লক সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায় রামপুরহাটের মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। মহকুমাশাসক বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” শুভাশিসবাবু অবশ্য লিফলেট দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, “ওই মাজারের উন্নয়ন নিয়ে এলাকার মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, সাংসদ শতাব্দী রায় প্রতিশ্রুতি দিয়েও টাকা দেননি। আমরা যাওয়ায় ভয় পেয়ে তৃণমূল এটা নিয়ে রাজনীতি করছে।”
শতাব্দী অবশ্য বলেন, “মাজার উন্নয়নের জন্য সাংসদের এলাকা উন্নয়নের তহবিল থেকে টাকা দেওয়া যায় না। ওঁরা আমাদের সঙ্গে দেখা করলে অন্য ভাবে অন্য খাতে টাকা দেওয়া যেত। তবে যত দূর শুনেছি, মাজারে চাদর চড়ানোর নামে শুধু এক জনকে নয়, বেশ কয়েক জনকে লিফলেট-সহ পাঁচশো-হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, “এটা নির্বাচনী বিধির বিরোধী। দলের তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হবে।” কংগ্রেস প্রার্থী সৈয়দ সিরাজ জিম্মি আবার দাবি করেন, “নায়ক-নায়িকারা জনবিচ্ছিন্ন। তাই ভোট কিনতে টাকা ছড়ানো ছাড়া গতি নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy