নিজস্ব চিত্র।
সাবমার্সিবল-এ বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে দীর্ঘক্ষণ সাইঁথিয়া-মহম্মদবাজার রাস্তার পুনুরে অবরোধ করেন দেড়িয়াপুর এলাকার চাষিরা। চাষিদের দাবি, কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার দুপুরে এলাকার ৪০০ বেশি সাবমার্সিবল-এ লাইন কেটে দেয় বিদ্যুৎ দফতর। বিদ্যুৎ দফতরের দাবি, ওই এলাকার বহু চাষি বকেয়া বিল দিচ্ছেন না। বার বার বলা হলেও বিল মেটাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার অবরোধের খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ আসে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
সাঁইথিয়ার দেড়িয়াপুর এলাকায় কৃষিতে ব্যবহৃত প্রায় সাড়ে চারশো সাবমার্সিবল পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪০ জনের মতো চাষির বিল বাকি আছে। কিন্তু যাঁদের বিল বাকি নেই সে সব চাষিরাও এ দিন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিল মিটিয়ে দেওয়া চাষিদের যুক্তি, যাঁদের বিল বাকি আছে বা দিচ্ছেন না তাঁদের লাইন কাটুক। কিন্তু সকলের লাইন কাটবে কোন অধিকারে। মঙ্গলবার দুপুরে অন্যায় ভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার পর বার বার বলা হয়েছে লাইন জুড়ে দেওয়ার জন্য। আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই। তাঁরা বলেন, “এ দিকে আমরা মহাজনদের কাছে ধার দেনা করে আলু, সর্ষে ইত্যাদি চাষ করেছি। এমনিতেই মাথায় হাত পড়ার উপক্রম। তারপর হঠাৎ করে যদি বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয় তা হলে তো প্রাণে মরা ছাড়া আর উপায় থাকবে না।” যাঁদের বিল বাকি আছে তাঁদের অনেকেরই দাবি, অতিরিক্ত বিলের জন্যই বিল দেওয়া যাচ্ছে না। বকেয়া বিল সংশোধন করলেই মিটিয়ে দেওয়া হবে। অবরোধ তুলে নেওয়ার পর ক্ষুব্ধ চাষিরা সিউড়িতে জেলা সভাধিপতির কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন। ততক্ষণে অবশ্য বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেয় বিদ্যুৎ দফতর। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির রামপুরহাট ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র অশোক সামল বলেন, “ওই এলাকায় অনেক চাষির বিল বাকি আছে। অনেকবার বিল মেটানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাত দেখিয়ে কিছুতেই বিল মেটাচ্ছিলেন না। তাই বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হয়েছে।” যাঁরা দিয়েছেন তাঁদের লাইন কেন কাটা হল? অশোকবাবু বলেন, “নিয়ম মেনেই কাটা হয়েছে।” সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “চাষিদের বলেছি বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব। তবে বিল মেটাতেই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy