যদুভট্ট মাতল সাত নাটকে
বিষ্ণুপুরে হয়ে গেল সাত দিনের ‘নাট্যমেলা’। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের নাট্য আকাদেমি আয়োজিত এই নাট্যমেলা শুরু হয় ১ নভেম্বর। শেষ হল শুক্রবার। বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত রাবণকাটা লোকনৃত্যের মাধ্যমে মেলার সূচনা হয়। গত সাতদিন ধরে হাওড়া ব্রাত্যজনের ‘জায়মান’, যোজক-র ‘এ আবরণ’, চোখ নাট্যদলের ‘খুন’, বালিগঞ্জ ব্রাত্যজনের নাটক ‘অর্ধাঙ্গিনী’, লেকটাউন শ্রীভূমি সংসৃতি-র ‘সূর্য পোড়া ছাই’, আভাব দক্ষিণ কলকাতার ‘রূপকথার চুপকথা’ ও গোবরডাঙা শিল্পায়নের ‘চৈতন্য চে’ মঞ্চস্থ হল। বিষ্ণুপুরের মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, যদুভট্ট মঞ্চে প্রতিদিনই ভিড় জমালেন নাট্যমোদী দর্শকরা।
বড়জোড়ার স্কুলে অনুষ্ঠান
বড়জোড়া বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ১২ তম বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বড়জোড়া গার্লস হাইস্কুল প্রাঙ্গণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। অনুষ্ঠানে সমবেত আবৃত্তি, সমবেত নৃত্য, সমবেত সঙ্গীত ও নৃত্য নাট্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। স্কুলের প্রায় ২০০ ছাত্রছাত্রী অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বলে জানিয়েছেন সহ অধ্যক্ষা সোনালি ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী, বড়জোড়া বিধায়ক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ-সহ অনেকে।
নাটকে বার্তা সচেতনতার
সম্প্রতি মানবাজার ব্লকের কামতা জাঙ্গিদিরি অঞ্চলের জাঙ্গিদিরি গ্রামে বনডি শিক্ষা কেন্দ্রের খুদে পড়ুয়ারা নাটক প্রদর্শন করল। নাটকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের উপকারিতা, পণপ্রথা রোধ এবং মাদক দ্রব্যের ক্ষতিকারক দিকের কথা তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (নারী ও শিশু কল্যাণ স্থায়ী সমিতি) নিয়তি মাহাতো, মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মাহাতো, মানবাজার ১ ব্লকের সিডিপিও বিনোদবিহারী মুর্মু, কামতা জাঙ্গিদিরি পঞ্চায়েতের প্রধান ইরাবতী মান্ডি প্রমুখ হাজির ছিলেন।
নৃত্য সংস্থার রজত জয়ন্তী
পুরুলিয়া নিস্তারিণী মহিলা মহাবিদ্যালয় প্রেক্ষাগৃহে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল নৃত্য সংস্থা ‘ছন্দম’-র রজত জয়ন্তী বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শান্তা মজুমদারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল লোকনৃত্য, রবীন্দ্র নৃত্য-সহ নানা নাচে। আকর্ষন ছিল কৌতূক নৃত্য-নাটিকা ‘ভস্মাসুর বধ’।
শিশু বইমেলায় অনুষ্ঠান
বিষ্ণুপুর স্টেডিয়ামে হয়ে গেল শিশু বইমেলা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা নাচ,গান, আবৃত্তি করে। এ ছাড়া ছিল বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। বইয়ের স্টলগুলিতে প্রতিদিনই কচিকাঁচাদের ভিড় দেখা যায়। এ ছাড়া মূল মঞ্চে আলোচনাচক্র স্মরণ করা হয় জেলার নানা ক্ষেত্রে বিশিষ্টজনদের।
হাওড়া ব্রাত্যজনের ‘জায়মান’-এর একটি দৃশ্য।—নিজস্ব চিত্র।
নৃত্যানুষ্ঠানে খুদেরা। বড়জোড়ার স্কুলে।—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy