প্রতীকী ছবি।
রাম নিয়ে বাংলায় কার্যত রাম-রাবণের যুদ্ধ হওয়ার পরিস্থিতি।
গত বছরের মতো এ বারও সারা রাজ্যে রামনবমী পালন করবে সঙ্ঘ পরিবার। ২৫ মার্চ মিছিল-মিটিং, জনসভা, আরতির মাধ্যমে তা পালনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। রামের উপর গেরুয়া বাহিনীর এই একাধিপত্য কিছুতেই ছাড়তে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। সরকারিভাবে কোনও কর্মসূচি ঘোষিত না হলেও, জেলায় জেলায় তৃণমূলও রামনবমী পালনের কমিটি তৈরি করেছে। ঠিক হয়েছে, যেখানেই সঙ্ঘ পরিবার রামনবমী পালন করার প্রস্তুতি নেবে, সেখানে তার চেয়েও বড় মাপের রাম-মিছিল করা হবে। প্রয়োজনে সঙ্ঘের কর্মসূচি ‘হাইজ্যাক’ করে নেওয়াও হতে পারে। তবে সঙ্ঘ পরিবারের অনুষ্ঠানে বিজেপির পরিচিত মুখেদের না নামানোর ভাবনা থাকলেও, শাসক দলের নেতারাই জোড়াফুলের রামনবমী পালনে নেতৃত্ব দেবেন। ফলে রামের নামে ফের এক বার রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পূর্বাঞ্চলের নেতা শচীন্দ্রনাথ সিংহ বলেন,‘‘এ বার সারা বাংলায় অন্তত ৭০০টি স্থানে রামনবমীর মিছিল বেরবে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মিছিলে আসতে বারণ করা হয়েছে। তবে যে সংখ্যক মানুষ মিছিলে আসবেন তাতেই বোঝা যাচ্ছে বাংলায় রামরাজ্য আসার সময় হয়েছে।’’
এ কথা শুনে খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক পাল্টা বলেন,‘‘ ২৫ মার্চই বোঝা যাবে ময়দানে কারা আছে। রাম আমাদেরও হৃদয়ে রয়েছেন। বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না। বাংলার রাম আমাদের দখলেই থাকবেন।’’ কৃষি মন্ত্রী তথা বীরভূমের নেতা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘বীরভূমে রামনবমী পালনের জন্য ওই কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটি জেলার সর্বত্র রামনবমী পালন করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy