Advertisement
০৮ মে ২০২৪

বেপরোয়া বাইকের ধাক্কা শিক্ষককে, মার-হুমকিও

পুজোর ফুল কিনে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন শিক্ষক অরূপকুমার ঘোষ। পিছন থেকে সজোরে এসে তাঁর মোটর বাইককে ধাক্কা দেয় আর একটি বাইক। তাতে ছিলেন এক যুবক।

অরূপকুমার ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

অরূপকুমার ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৫৪
Share: Save:

পুজোর ফুল কিনে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন শিক্ষক অরূপকুমার ঘোষ। পিছন থেকে সজোরে এসে তাঁর মোটর বাইককে ধাক্কা দেয় আর একটি বাইক। তাতে ছিলেন এক যুবক। শিলিগুড়ি বয়েজ হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক অরূপবাবু দেখেন, সেই যুবকের কানে মোবাইল। কথা বলতে বলতে বাইক চালাচ্ছিল এক হাতে। ধাক্কার চোটে অরূপবাবুরা প্রায় পড়েই যাচ্ছিলেন।

সামলে নিয়ে অরূপবাবু ওই যুবককে এ ভাবে বাইক চালাতে বারণ করেন। ওই যুবকও তখন তেড়ে উঠে দু’কথা শুনিয়ে দেন অরূপবাবুদের। কিন্তু লোকজনও জমে যাওয়ায় তখনকার মতো গোলমাল চুকে যায়।

অরূপবাবুর স্ত্রী প্রজ্ঞামিতাদেবী জানান, তাঁদের বাড়ির গলির সামনে একটা মাঠ আছে। সেখানকার মোড়ে পৌঁছে তাঁরা দেখেন, ছেলেটি মোটর বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁরা যেতেই তেড়ে এসে সে বাইকের চাবি খুলে নেয় বলে অভিযোগ। লাইসেন্সও দেখতে চায়। প্রজ্ঞামিতাদেবী জানান, তাঁর স্বামী বাইক থেকে নামতেই ওই যুবক চাবি কেড়ে নেয়। তিনি বলেন, ‘‘আমি দৌড়ে বাড়ির লোকজনকে ডাকতে যাই। সেই সময় হেলমেট দিয়ে ছেলেটি আমার স্বামীকে মারে।’’ প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, অরূপবাবুর মাথায় ডান পাশে, চোখের নীচে এবং ঠোঁটে আঘাত লেগেছে। শিলিগুড়ি হাসপাতালে তাঁর সিটি স্ক্যান, চিকিৎসা করানো হয়েছে। প্রজ্ঞামিতাদেবী জানান, ছেলেটির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে আর একজনও গিয়ে হুমকি দিয়েছে তাঁদের। প্রজ্ঞামিতাদেবী বলেন, ‘‘দোষ
করার পরেও ওদের সাহস দেখে চমকে গিয়েছি।’’

‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রচার শিলিগুড়িতেই শুরু হয়েছিল। সেখানেই এমন বেপরোয়া বাইক চালানোর প্রবণতা দেখে ক্ষুব্ধ অনেকেই। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাস্তঘাটে সর্বত্র কিছু বাইক, স্কুটির চালক কানে মোবাইল রেখে এক হাতে গাড়ি চালান। আর এক দল হেলমেটের মধ্যে মোবাইলটি আটকে চলতে থাকেন। ডান-বাঁয়ে দেখা তো দূরের কথা, গাড়ির সিগন্যাল, হর্নও তাঁরা শুনতে পান না। ট্র্যাফিক পুলিশের সামনে প্রতিদিনই এমন চলে। তাঁদের কাউকে ট্র্যাফিক পুলিশ জরিমানা করছেন, এমনটাও খুব একটা দেখা যায় না।

শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা বলেন, ‘‘যুবককে খুঁজে বার করে স্থানীয় থানাকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ট্রাফিকের সঙ্গেও কথা বলব।’’ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খুবই দুভার্গ্যজনক ঘটনা। বিষয়টি দেখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Teacher Reckless Driving
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE