ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে প্রশাসনের একাংশের মধ্যে। তার প্রধান কারণ হল, স্বরাষ্ট্রসচিবের অধীনে সবচেয়ে আগে যে দু’জন অফিসারের নাম আসে, তাঁরা হলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার। এর মধ্যে বর্তমান ডিজি অত্রিবাবুর চেয়ে বয়সে এবং চাকরিতে সিনিয়র। সে ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এই সমস্যা অত্রিবাবুর সামনে ভবিষ্যতে বিড়ম্বনা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
নবান্ন সূত্রের খবর, অত্রি ভট্টাচার্য ছাড়া আরও জনা চারেক অফিসারের নাম বিবেচিত হয়েছিল নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব পদের জন্য। যাঁদের নিয়ে বিস্তর জল্পনাও ছিল প্রশাসনের অন্দরে। এর মধ্যে প্রথমেই যে দু’টি নাম ছিল, তাঁরা হলেন পূর্তসচিব ইন্দিবর পাণ্ডে এবং অধুনা স্বাস্থ্যসচিব রাজেন্দ্র শুক্ল। কিন্তু ‘সারা রাজ্যের সড়ক তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ইন্দিবরকে সামলাতে হয় এবং শুক্লকে উচ্চশিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হবে’— এই যুক্তিতে ওই দু’জনকে স্বরাষ্ট্রসচিব করা হয়নি। একই ভাবে জিএসটি নিয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হবে বলে স্বরাষ্ট্রসচিব করা হল না অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। শিল্প দফতরের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন বলে রাজীব সিন্হাকে স্বরাষ্ট্রসচিব করতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অত্রি ভট্টাচার্যের জায়গায় নতুন তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের সচিব হবেন উচ্চশিক্ষা দফতরের সচিব বিবেক কুমার। তাঁর জায়গায় রাজেন্দ্র শুক্ল উচ্চশিক্ষা দফতরের দায়িত্ব পাচ্ছেন। শুক্লর জায়গায় স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অনিল বর্মাকে। যাঁকে কিছু দিন আগেই খাদ্য দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল প্রশাসনের অন্দরে। অনিল বর্মার জায়গায় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান হচ্ছেন সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সচিব হচ্ছেন নীলম মিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy