দুয়ারে সরকার শিবিরে রেড ভলান্টিয়ারদের তাঁবু। মঙ্গলবার গাংনাপুরের সরিষাডাঙায়। নিজস্ব চিত্র।
তাঁরা সিপিএমের যুব-ছাত্র সংগঠনের কর্মী এবং করোনাকালে গঠিত বাম-স্বেচ্ছাসেবী দল ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’-এর সদস্য। সেই তাঁরাই তৃণমূল সরকারের চালু করা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করে দেওয়ার জন্য মহিলাদের সাহায্য করছেন নদিয়া জেলার একাধিক ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে।
গত সোমবার যেমন রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের আঁইসমালি গ্রাম পঞ্চায়েতে সরিষাডাঙা হাইস্কুলে দুয়ারে সরকারের শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানেই শিবির করেছিলেন রেড় ভান্টিয়ার্সেরা। ৫০ জন ভলান্টিয়ার বিনামূল্যে আবেদনপত্র পূরণ করে দিয়ে বহু মহিলাকে সাহায্য করেছেন। কী ভাবে ফর্মে লিখতে হবে তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না অনেকে। তাঁরা স্বস্তি পেয়েছেন।
তবে অনেকেই একে বামেদের ভিন্ন আঙ্গিকের জনসংযোগ পদ্ধতি এবং ভোটার মন জয়ের পন্থা বলে মনে করছেন। প্রকল্প সরকারের। কিন্তু তাকে হাতিয়ার করেই কৌশলে সিপিএমের প্রতি মানুষের সহানুভূতি ও আস্থা বাড়ানোর জন্যই এই প্রয়াস বলে রাজনৈতিক মহলের অনেকের মত। প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন জেলায় বিজেপি কর্মীরা স্বাস্থ্য সাথীর ফর্ম পূরণ করছেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কে মহিলাদের মধ্যে প্রচার করছেন এবং ফর্ম পূরণ করেছেন। তা নিয়ে অনেক আলোচনাও হয়েছে।
রেড ভলান্টিয়ার্স তথা ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য নেতা স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা অর্থহীন। আমরা সব সময় মানুষের পাশে থাকি। আমাদের সদস্যরা করোনার সময় মানুষকে অক্সিজেন জোগাড় করে দিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। মৃতদেহ দাহ করেছেন। মানুষ যাতে সরকারি প্রকল্প থেকে তাদের অধিকার বুঝে নিতে পারেন সেই কারণেই এ বার আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছি।’’
নদিয়া দক্ষিণ জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি বিপুল উকিলের কথায়, ‘‘সিপিএমের সব শেষ। এখন এই ভাবে উঁকিঝুঁকি মেরে বাঁচার চেষ্টা করছে।’’
রানাঘাট ২ নম্বর ব্লক তৃণমুলের সভাপতি দেবাঞ্জন গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘মা-মাটি-মানুষের সরকারের কর্মসূচি, দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য এই কর্মসূচি। তবে, শুনেছি কোথাও-কোথাও সাহায্য করার সময় ওরা দলীয় পতাকা ব্যবহার করেছেন। এই ভাবে সাহায্য করার যুক্তি নেই। প্রচারের জন্য এ সব করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy