Advertisement
E-Paper

দু’দিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর উত্তর সিকিমে ভাঙা সেতু জুড়ল! তবে ১২০০ পর্যটক এখনও আটকেই

উত্তর সিকিমের সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান সেতু ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। সাংকলনের এই সেতুর মাধ্যমেই উত্তর সিকিম-সহ ডংযুর বিস্তীর্ণ এলাকায় যাতায়াত করা যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪ ১৬:৪৪
আবার তৈরি হল উত্তর সিকিমের সঙ্গে সংযোগকারী সেতু।

আবার তৈরি হল উত্তর সিকিমের সঙ্গে সংযোগকারী সেতু। — নিজস্ব চিত্র।

অবশেষে শনিবার উত্তর সিকিমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ তৈরি করল বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন (বিআরও)। দু’দিনের মধ্যে উত্তর সিকিমে যাওয়ার প্রধান সেতু তৈরি করা হয়েছে। তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, সিকিমে আটকে থাকা ১,২০০ পর্যটককে কবে উদ্ধার করা যাবে?

ক্রমাগত বৃষ্টি এবং ধসের কারণে বুধবার ভেঙে গিয়েছিল সাংকলনের সেতুটি। সাংকলনের এই সেতুর মাধ্যমেই উত্তর সিকিম-সহ ডংযুর বিস্তীর্ণ এলাকায় যাতায়াত করা যায়। এই সেতু ভেঙে পড়ায় বাকি রাজ্য তথা দেশের সঙ্গে উত্তর সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। লাচুং, চুংথাঙে আটকে পড়েন অন্তত ১,২০০ জন পর্যটক। এ বার তাঁদের উদ্ধার করার প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন। তবে সিকিমের বহু রাস্তা ধসের কারণে ভেঙে পড়েছে। সে কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কিছুটা সময় লাগবে। কবে ওই পর্যটকদের উদ্ধার করা যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

গত চার দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছে সিকিমে। তার জেরে ধস নেমেছে সেখানে। বহু পাহাড়ি রাস্তা ধসে গিয়েছে। ধস নেমে ডিকচু, সাংকলন থেকে টুং, অন্য দিকে মঙ্গন থেকে সাংকলন, সিংথাম থেকে রাংরাং, রাংরাং থেকে টুং যাওয়ার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সিকিমের উত্তর অংশে যাতায়াতের সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে দু’দিন ধরে আটকে রয়েছেন অন্তত ১২০০ জন পর্যটক। তাঁদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। ১৫ জন বিদেশি পর্যটকও রয়েছেন। উত্তর সিকিমের সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান সেতু ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়৷ আটকে পড়া পর্যটকদের আকাশপথে উদ্ধারের পরিকল্পনা করেছিল প্রশাসন। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য তা সম্ভব হয়নি। সেই কারণেই দ্রুত সেতু নির্মাণ শুরু হয়।

গত দু’দিন ধরে বিআরওর কর্মীরা আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে এক দিকে যেমন রাস্তা মেরামতির কাজ করছেন, অন্য দিকে সেতু তৈরির কাজও চলছিল। সাংকলনের টুং এলাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা ইতিমধ্যেই মেরামত করা হয়েছে। চুংথাং থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রাস্তায় ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ চলছে। নাগা থেকে লাংথাখোলা পর্যন্ত রাস্তা ইতিমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। ফলে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও উত্তর সিকিমে লাগাতার বৃষ্টি চলছে। সিকিম আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে উত্তর সিকিমে প্রায় ২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনও বৃষ্টিপাতের একই পরিস্থিতি থাকবে বলেই জানিয়েছে সিকিম হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে উত্তর সিকিমে বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ছোট-বড় ধস নেমেছে। তার মধ্যেই চলছে মেরামতির কাজ।

flood sikkim
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy