নয়ানজুলি ভরাটের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে তৃণমূলের অশালীন মন্তব্য শুনতে হল অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের আগে গোপালনগরে এক দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে গিয়ে রূপা আক্রান্ত হন। তখনও অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলেরই বিরুদ্ধে। ভিআইপি রোডের ধারে নয়ানজুলি ভরাটের প্রতিবাদে মঙ্গলবার শ্রীভূমিতে বিজেপি-র বিক্ষোভ চলাকালীন অবশ্য রূপাকে গোপালনগর কাণ্ডের মতো হেনস্থার শিকার হতে হয়নি।
ভিআইপি রোডের উপর লেকটাউন থেকে উল্টোডাঙা যে সব নয়ানজুলি ভরানো হয়েছে, সেগুলি পুরনো অবস্থায় ফেরানোর দাবিতে এ দিন বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনার নেতারা রূপা এবং জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিয়ে শ্রীভূমিতে পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের কাছে স্মারকলিপি দেন। বিজেপি-র অভিযোগ, বিক্ষোভের সময়ে তৃণমূলের লোকজন রূপার প্রতি অশালীন মন্তব্য করে এবং ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেয়। রূপা সেখানেই তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘যা-ই করুন, খাল, নয়ানজুলি বোজাতে দেব না।’’ বিজেপি-র জেলা সভাপতি গোপাল সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূল গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশ তৎপর থাকায় ওরা সফল হয়নি।’’ তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু অবশ্য বলেন, ‘‘রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদাররা লোক ভাড়া করে ওখানে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমি বিধানসভায় ছিলাম। ফলে স্থানীয় মানুষ তাঁদের কী বলেছেন, জানি না। তবে বিজেপি-র ওই নেতা-নেত্রীদের বক্তব্যের কোনও জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না।’’ প্রসঙ্গত, নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত লেকটাউন থেকে উল্টোডাঙা নয়ানজুলি বোজানোর অভিযোগে গত সপ্তাহে বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন। সভার বাইরে ওই প্রসঙ্গে তিনি প্রোমোটারি রাজ বাড়ছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন। যা নিয়ে বিধাননগরের তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু বিধানসভায় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিধানসভায় আজ, বুধবার ওই বিষয়ে মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর বিবৃতি দেওয়ার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy