Advertisement
১১ মে ২০২৪

ছাঁটাই হয়েই সরকারকে তোপ, সর্বাণী বললেন ‘অনেক কিছু জানি’

পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ মামলার সরকারি আইনজীবী সর্বাণী রায়ের বিস্ফোরক মন্তব্য ফের অস্বস্তিতে ফেলল সরকারকে। সরকারি আইনজীবী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে পড়েছে। সরকারের অনিচ্ছাতেই এখনও আড়ালে আসল ধর্ষক, স্পষ্ট ইঙ্গিত সর্বাণী রায়ের মন্তব্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ১৫:৫০
Share: Save:

পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ মামলার সরকারি আইনজীবী সর্বাণী রায়ের বিস্ফোরক মন্তব্য ফের অস্বস্তিতে ফেলল সরকারকে। সরকারি আইনজীবী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে পড়েছে। সরকারের অনিচ্ছাতেই এখনও আড়ালে আসল ধর্ষক, স্পষ্ট ইঙ্গিত সর্বাণী রায়ের মন্তব্যে।

ধর্ষণ কাণ্ডের তিন অপরাধীর জন্য ন্যূনতম সাজা চেয়ে তুমুল বিতর্কে জড়ান ওই মামলার সরকারি আইনজীবী সর্বাণী রায়। সরকারি আইনজীবীকে সরিয়ে দিয়ে মুখরক্ষা করতে চেয়েছিল সরকার। কিন্তু হিতে বিপরীত হল। পদ থেকে অপসারিত হয়েই সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করলেন সর্বাণী। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি কৌঁসুলি পদ থেকে আমাকে সরিয়ে দিলেও কিছু যায় আসে না। যা করেছি ঠিক করেছি।’’ নিজের সওয়ালের পক্ষে যুক্তিও খাড়া করেছেন সর্বাণী রায়। তিনি বলেন, রুমান, নাসের, সুমিত আসল অপরাধী নয়। তারা ধর্ষণের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত নয়। তাই তাদের ন্যূনতম সাজাই হওয়া উচিত। এর পরই সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য অপসারিত সরকারি কৌঁসুলির। তিনি বলেন, ‘‘যে ধর্ষণ করেছে সে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। আমাদের কাছেও খবর আছে কারা তাকে গা ঢাকা দিতে সাহায্য করেছে। ইচ্ছা করলে সরকার থেকে ব্যবস্থা করে তাকে তুলে আনাই যেত। অনেক খবর আমরাও পেয়েছি।’’

আরও পড়ুন:

সুজেট মামলায় সরকারের মুখ পুড়িয়ে অপসারিত সরকারি কৌঁসুলি সর্বাণী

সর্বাণী রায়ের এই মন্তব্য ফের তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সরকারের অনিচ্ছাতেই যে মূল অভিযুক্ত কাদেরকে ধরা যায়নি, সর্বাণী তা সরাসরিই বলেছেন। পরোক্ষে তাঁর ইঙ্গিত, কাদেরকে গা ঢাকা দিতে সাহায্য করার পিছনেও সরকারেরই হাত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE