Advertisement
E-Paper

বৈধতা পেলেই কি ন্যায্য, বলছে বিরোধীরা

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসনের জন্য পুনর্নির্বাচনের আদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তার মানে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে, এ কথা সর্বোচ্চ আদালত বলেনি বলেই দাবি বিরোধীদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৪৫

সর্বোচ্চ আদালতের রায় তাদের পক্ষে যায়নি। আইনি লড়াইয়ে ধাক্কা খাওয়ার পরে বিরোধীরা বলছে ভবিষ্যতে ‘ময়দানের লড়াই’ এবং ‘মানুষের রায়ে’র কথা।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসনের জন্য পুনর্নির্বাচনের আদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তার মানে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ভাবে হয়েছে, এ কথা সর্বোচ্চ আদালত বলেনি বলেই দাবি বিরোধীদের। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল বিষয়টিকে তাদের রাজনৈতিক জয় হিসেবে দেখাতে চাইছে। কিন্তু রাজনৈতিক লড়াই মাঠে ময়দানে হয়। আগামী নির্বাচনে তার মোকাবিলা হবে।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান মেনে যা করা সম্ভব, তা-ই করেছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, এখানে নির্বাচনে হিংসা হয়নি।

আদালত এ বিষয়ে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে ধমকও দিয়েছে।’’ একই সঙ্গে দিলীপবাবুর আশঙ্কা, ‘‘পুরভোট-সহ যত ভোট আগামী দিনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে হবে, সব ক’টিতেই যথেচ্ছাচার হবে!’’ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, ‘‘এই মামলার ফলে অন্তত দেশের মানুষ জানতে পারলেন, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট কী ভাবে হয়েছে!’’

আরও পড়ুন: বৈধতা পেলেই কি ন্যায্য, বলছে বিরোধীরা​

সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশকে শিরোধার্য করেও সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম শুক্রবার বলেছেন, ‘‘নৈরাজ্যের শক্তি মাথা নিচু করার পরিবর্তে এই রায় তাদের মাথা তুলতে সাহায্য করবে। গ্রামবাংলার অসহায় মানুষ আর পঞ্চায়েতকে লুটেরাদের হাতে তুলে দিতে ন্যায়পরায়ণতার জলাঞ্জলি দেওয়া হল।’’ আর বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘ক্লাসের সব চেয়ে বখাটে ছেলেকে অনেক সময় বকে, কান মলে, নিল ডাউন করিয়েও শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই মামলায় তৃণমূলের হাল অনেকটা সেই রকম হয়েছে! এতে অত উচ্ছ্বাসের কী আছে!’’

আদালত বলেছে, বিনা লড়াইয়ের আসনের ফল ঘোষণার পরে ৩০ দিনের মধ্যে ‘নির্বাচন পিটিশন’ করা যাবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর প্রশ্ন, নির্বাচন পিটিশন তাঁরাই করতে পারেন, যাঁরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। যেখানে মনোনয়নই দেওয়া যায়নি, সেখানে আর পিটিশন হবে কী ভাবে? অধীরবাবুর মতে, ‘‘আদালতের রায় অবশ্যই মানতে হবে। তবে আদালতের রায় আদালতে। জনতার রায় ভবিষ্যতে মানুষ ঠিক দিয়ে দেবেন বলে আশা করি।’’ বাকি বিরোধীদের মতো তাঁরও বক্তব্য, প্রায় পৌনে দু’কোটি মানুষ যে ভোট দিতে পারেননি, বহু প্রাণহানি ও রক্তপাত ঘটেছে— এ সব কোনও কিছুই সুপ্রিম কোর্ট অস্বীকার করেনি।

আরও পড়ুন: ‘জয় গণতন্ত্রে’র, স্বস্তি মমতার

সদ্যপ্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে সামনে রেখে পঞ্চায়েতে বেনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’। ওই মঞ্চের তরফে সম্পাদক চঞ্চল চক্রবর্তীও এ দিন বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘অনিয়ম এবং প্রহসন এই রায়ের ফলে বৈধতা পেল। কিন্তু যা কিছু বৈধ, তা যে সব সময় ন্যায়সঙ্গত না-ও হতে পারে— এ কথা মনে রাখা উচিত।’’

West Bengal Panchayat Election Panchayat Election 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০১৮ TMC BJP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy