স্কুলবাড়ি রং করা নিশ্চয়ই দরকার। কিন্তু একশো দিনের কাজ প্রকল্পে যে সেটা করা যায় না, রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরের বোধ হয় তা জানা ছিল না!
কেন্দ্রীয় সরকার এই নিয়ে আপত্তি তুলতেই স্কুলভবনে রং লাগানো তাই আপাতত বিশ বাঁও জলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি সপ্তাহে বৈঠকে বসতে পারে শিক্ষা দফতর। রঙের জন্য ৫০০ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ করেছিল নবান্ন।
জানুয়ারির মাঝামাঝি স্কুলশিক্ষা দফতর এক নির্দেশিকায় জানায়, গ্রামীণ এলাকায় একশো দিনের কাজ প্রকল্পে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের বাড়িতে রং দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল-চত্বর সাফাই করা হবে। তাতে আপত্তি জানিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের সচিব এবং একশো দিনের কাজ প্রকল্পের কমিশনারকে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় যুগ্মসচিব। তাতে তিনি জানান, একশো দিনের কাজ প্রকল্পের টাকা স্কুলভবনে রং দেওয়ার কাজে ব্যবহারের কোনও সংস্থান নেই। সেই জন্য এই ধরনের কাজ করলে তার ব্যয়ভার বর্তাবে রাজ্য সরকারের উপরে। এই মর্মে কেন্দ্রের ‘কড়া’ চিঠি পাওয়ার পরেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে পঞ্চায়েত দফতর। স্কুলশিক্ষা সচিবকে চিঠি দিয়ে স্কুলবাড়ি রং করার নির্দেশিকা বদলের জন্য অনুরোধ করেন পঞ্চায়েত দফতরের সচিব। তার পরেই স্কুলভবনে রং লাগানোর কাজ থমকে গিয়েছে। কারণ, রঙের টাকা কোথা থেকে আসবে, স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তারা তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।
নবান্ন সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত দফতরকে না-জানিয়েই নির্দেশিকা জারি করেছিল স্কুলশিক্ষা দফতর। কেন্দ্র বিষয়টি জেনে চিঠি লেখার পরেই নড়েচড়ে বসে পঞ্চায়েত দফতর। স্কুলশিক্ষা দফতর সমস্যায় প়ড়ে যায়। আজ, সোমবার থেকে ৯ মার্চের মধ্যে স্কুলবাড়িতে রং লাগানোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল তারা। কিন্তু কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকার পরিপ্রেক্ষিতে সেই কাজ থমকে গিয়েছে। স্কুলবাড়ি রং করার জন্য বিভিন্ন জেলায় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পঞ্চায়েত দফতরের আপত্তিতে তা-ও আটকে গিয়েছে।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা তো রং করব না। তবে কেন্দ্রের কাছে ভুল তথ্য গিয়েছিল।’’ এই বিষয়টি বাতিল হয়ে গিয়েছে কি না, সেই বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি তিনি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্কুলশিক্ষা দফতরের কর্তারা। একশো দিনের কাজ প্রকল্পে স্কুলের বাগান পরিচর্যার বিষয়টিও উল্লেখ আছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই কাজের কী হবে, সেটাও নিশ্চিত নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy