বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে তদন্তকারীরা। ফাইল ছবি।
নিমতিতা-বিস্ফোরণের তদন্ত দ্রুত গুটিয়ে ফেলতে চান তদন্তকারীরা। শনিবার ওই মামলায় সইদুল শেখকে জেরা করে আরও এক অভিযুক্তের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। তাঁদের ধারণা, বিস্ফোরণের নেপথ্যে যদি কোনও ষড়যন্ত্র থাকে, তবে তার হদিশ পুলিশকে দিতে পারবে ওই ব্যক্তিই। আপাতত ওই তৃতীয় অভিযুক্তের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে নিমতিতা-কাণ্ডের তদন্তকারী একটি দল। যদিও পুলিশের সন্দেহ এরা পেশাদার খুনি।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারির নিমতিতা-বিস্ফোরণের ঘটনায় এই নিয়ে তৃতীয় অভিযুক্তের নাম সামনে এল। এর আগে আবু সামসাদকে আটক করেছিল পুলিশ। তার তিন দিন পর ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় সইদুলকে। আর এ বার ওই তৃতীয় ব্যক্তিও ভিন্রাজ্যে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে সইদুল। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ১০টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে আহত হন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ আরও বেশ কয়েক জন। প্রথমে তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং পরে এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ।
এই ঘটনার পাঁচ দিন পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আবু সামাদ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ এবং সিআইডি। আবু সামাদ মুর্শিদাবাদের সুতির রঘুনাথপুর পুরাপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় গাড়িচালক। স্থানীয় সূত্রে খবর, বোমা বিস্ফোরণের দিন দশেক আগে বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে আসে সে। তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য, উঠে আসে বোমা হামলায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত সইদুলের নাম।
আবু সামাদকে আটক করার তিন দিন পর ২৬শে ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ড থেকে গ্রেফতার হয় সইদুল। সুতির অওরঙ্গবাদের মৌলবিপাড়ায় সইদুলের বাড়ি। রাসায়নিক কেমিক্যাল তৈরির ‘দক্ষ কারিগর’ বলে ‘কেমিক্যাল সইদুল’ নামেও পরিচিত ছিল সে। তবে এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গিযোগ আছে কি না সে বিষয়ে ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy