E-Paper

কোন পরামর্শ ও পরিষেবায় টাকা, উত্তর খুঁজবে ইডি

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর নিউ আলিপুরের অফিসে তল্লাশিতে ওই সব সন্দেহজনক নথি পাওয়া গিয়েছে বলে ইডির দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ০৬:৪০
ED.

—প্রতীকী ছবি।

বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইডি অভিযোগ করেছিল, ‘এম/এস লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’ কোটি কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনে জড়িত।

প্রকাশ্যে না বললেও বৃহস্পতিবার ইডির একটি সূত্রের দাবি, ‘পরামর্শ ও পরিষেবা’ বাবদ বিভিন্ন সংস্থা থেকে ‘এম/এস লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর অধীনস্থ একটি সংস্থায় কয়েক কোটি টাকা জমা হয়েছে বলে বেশ কিছু নথি তাদের হাতে এসেছে। প্রসঙ্গত, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস-এর নিউ আলিপুরের অফিসে তল্লাশিতে ওই সব সন্দেহজনক নথি পাওয়া গিয়েছে বলে ইডির দাবি।

তবে যে সংস্থাগুলি থেকে টাকা ঢুকেছে, তাদের অস্তিত্ব খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সংস্থার সঙ্গে এর আগে অন্য যে সব সংস্থার লেনদেনের হদিস পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলির মধ্যে অনেক সংস্থারই অস্তিত্ব নেই। ইডি কর্তাদের দাবি, এ বার ওই সংস্থাগুলি বাস্তবে থাকলে জানতে চাওয়া হবে, ঠিক কী ধরনের ‘পরামর্শ ও পরিষেবা’-র জন্য কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল ‘এম/এস লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর অধীনস্থ ওই সংস্থাকে।

সুজয় এক সময় ‘এম/এস লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর ডিরেক্টর ছিলেন বলে বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে ইডি। সম্প্রতি সুজয়ের বিরুদ্ধে আদালতে পেশ করা চার্জশিটে ইডির তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, সুজয়ের মালিকানাধীন ‘এসডি কনসালটেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে সংস্থার থেকে প্রায় ৯৩ লক্ষ টাকা ‘এম/এস লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড’-এ জমা করা হয়েছিল। ইডি সূত্রের খবর, এই দুই সংস্থার মধ্যেও ‘পরিষেবা’ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু কী ধরনের পরিষেবা, তা ওই চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা নেই।

তদন্তকারীদের দাবি, হাওয়ালা মারফত প্রায় ১০ কোটি টাকা সুজয়ের দু’টি সংস্থা, ‘ওয়েলথ উইজ়ার্ড প্রাইভেট লিমিটেড’ ও ‘এসডি কনসালটেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড’ মারফত অন্য বেশ কয়েকটি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল। ইডির দাবি অনুযায়ী, কাগজে-কলমে ওই সব সংস্থাগুলি থাকলেও তাদের ঠিকানায় গিয়ে দেখা যায়, বাস্তবে তাদের অস্তিত্বই নেই। সুজয়ের বিরুদ্ধে আদালতে পেশ করা তদন্ত রিপোর্টে তা জানিয়েছেন ইডির কর্তারা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Enforcement Directorate West Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy