Advertisement
১০ মে ২০২৪
West Bengal

টিকা-কেন্দ্র তৈরি, নেই শুধু প্রতিষেধক

এখন দৈনিক প্রায় তিন হাজার কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। দৈনিক টিকা প্রাপকের সংখ্যাটাও দাঁড়াচ্ছে তিন লক্ষের আশেপাশে।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২১ ০৫:৫৫
Share: Save:

জুলাই জুড়ে রাজ্যে আসবে ৯০ লক্ষ ডোজ় টিকা। কিন্তু তাতেও বঙ্গে টিকার আকাল মিটবে না বলেই অভিমত রাজ্যের স্বাস্থ্য মহলের। ফলে করোনার প্রতিষেধক পাওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে হাহাকারের ছবিটাও কতটা বদলাবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে!

স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরের খবর, ১ কোটি ডোজ় টিকা খুব টানাটানি করে ২০ দিন পর্যন্ত চালানো সম্ভব। কারণ, টিকা প্রদানে রাজ্যে যে পরিকাঠামো তৈরি করা রয়েছে, তাতে এক কোটি ডোজ় টিকা শেষ করতে খুব বেশি হলে ১৫ দিন সময় লাগার কথা। স্বাস্থ্য শিবিরের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, এখন দৈনিক প্রায় তিন হাজার কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। দৈনিক টিকা প্রাপকের সংখ্যাটাও দাঁড়াচ্ছে তিন লক্ষের আশেপাশে। যদিও রাজ্যে প্রতি দিন ১০ হাজার কেন্দ্র চালানোর পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু স্রেফ টিকার জোগানের অভাবে সব গুলি চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, রাজ্যে টিকা প্রদানের জন্য ‘এএনএম’ এবং নার্স মিলিয়ে প্রায় কুড়ি হাজার জন প্রশিক্ষিত কর্মীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কিন্তু টিকা প্রদানের কাজ করছেন মেরেকেটে পাঁচ-ছয় হাজার জন। বাকিদের অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আধিকারিকদের দাবি, রাজ্যের প্রতিটি কেন্দ্রে দুই জন করে টিকা প্রদানের কর্মী থাকলে দৈনিক ১০ হাজার কেন্দ্র চালানো যেতে পারে। তাতে, প্রতিটি কেন্দ্রে ন্যূনতম ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হলে, দৈনিক ২০ লক্ষ ডোজ় প্রয়োজন। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘যদি তা না-ও হয়, তা হলেও যে পরিকাঠামো রয়েছে, তাতে ২০ লক্ষ ডোজ় শেষ করতে খুব বেশি হলে তিন দিন লাগবে। কিন্তু প্রশ্নটা হল, টিকা কোথায়? অভাবের সংসারে টানাটানি করে যতটা সম্ভব জোড়াতাপ্পি দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’

স্বাস্থ্য শিবিরের আরও দাবি, রোজ টিকা আসছে তেমন নয়। গত তিন দিনে মাত্র দু’বার টিকা এসেছে। যে সংখ্যাটা হল প্রায় ৮ লক্ষ মতো ডোজ়। রাজ্যে দৈনিক যদি তিন লক্ষ জনকে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়, তা হলেও তিন দিনের হিসেবে, এক লক্ষ ডোজ় কম পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি, কো-উইন পোর্টালের বিভ্রাটও একই ভাবে বজায় রাজ্য জুড়ে। কোথাও টিকা নেওয়ার পরেও পোর্টালে তা নথিভুক্ত হচ্ছে না। কোথাও আবার টিকা না পেয়েও শংসাপত্র আসছে। সব মিলিয়ে রাজ্য জুড়ে ‘টিকায় গণ্ডগোল’ কবে মিটবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Coronavirus Vaccine COVID-19 Vaccine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE