Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
TMC

শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ সিরাজকে ফিরিয়ে দলবদলের দাবায় এ বার পাল্টা চাল

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছেন সিরাজ। তিনি বলেছেন, ‘‘শুভেন্দু কাজে বাধা দেন। উনি ‘আমি’, ‘আমি’ করেন।’’

তৃণমূলে যোগ দিলেন সিরাজ খান। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলে যোগ দিলেন সিরাজ খান। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:১১
Share: Save:

তৃণমূলে ফিরলেন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সিরাজ খান। রবিবার তৃণমূল ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রর উপস্থিতিতে তিনি যোগদান করলেন। সিরাজকে ফিরিয়ে দলবদলের দাবায় এ বার পাল্টা চাল দিল তৃণমূল।

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের আগে গত বছর ২৫ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে কোলাঘাটে বিরাট জনসভা করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সিরাজ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। অধিকারীদের সৌজন্যেই জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হন। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে শুভেন্দুর দূরত্ব তৈরি হলে সিরাজ বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। একনিষ্ঠ শুভেন্দু অনুগামী হয়েই ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দকুমার থেকে জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হন। সেই আসনে জিতে জেলা পরিষদে খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ হন। কিন্তু শুভেন্দুর সঙ্গে দলের বিরোধের কারণেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

শুভেন্দু ঘনিষ্ঠকে দলে ফিরিয়ে তৃপ্ত তৃণমূল শিবির। আগামী কাল, ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। তার আগে অধিকারী পরিবার তথা বিজেপিকে ধাক্কা দেওয়ার লক্ষ্যেই সিরাজকে দলে ফেরানো হল বলে জানানো হয়েছে। এই যোগদানকে আপাতত নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের লক্ষ্য, শুভেন্দুকে ‘প্রভাবহীন নেতা’ প্রমাণ করা। সেই লক্ষ্যেই সিরাজকে দলে টেনে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ‘‘ভুলবশত কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে বিজেপিতে সামিল হয়েছিলেন সিরাজ। ২০১৬ সালে নন্দকুমারে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করবেন।’’

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছেন সিরাজ। তিনি বলেছেন, ‘‘শুভেন্দু কাজে বাধা দেন। উনি ‘আমি’, ‘আমি’ করেন। আর ‘আমিত্বে’ ভোগেন। ‘আমরা’ হলে কাজ করতে দেন না। সৌমেন মহাপাত্রর মতো নেতাকে তমলুক থেকে সরে যেতে হয়েছিল ভাল কাজ করায়। ২০১১ ও ২০১৬ সালে শুভেন্দু এবং শিশির অধিকারী নন্দকুমারের টিকিট দেওয়ার কথা বললেও দেননি। আমার প্রতিবাদ ওঁদের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ জানিয়ে ২০১৬ সালে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলাম।’’ সঙ্গে সংযোজন, ‘‘বিজেপিতে ভুল করে গিয়েছিলাম। ওটা বড় লোকের দল, তৃণমূল গরিবের দল। তাই বুঝতে পেরে ফিরে এলাম।’’ এর পর সিরাজের বক্তব্য, ‘‘২০০৮ সাল থেকে শুভেন্দু আমাকে ব্যবহার করেছেন। ওঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই না। তাছাড়া বিজেপিতে গিয়েও কাজের সুযোগ পাচ্ছিলাম না। তাই ফিরে এলাম।’’

আরও পড়ুন: ঢাক, কীর্তন থেকে সুচিত্রা-স্মরণ, বাঙালি মন ছুঁতে মরিয়া কৈলাস

আরও পড়ুন: ​দিলীপ-শুভেন্দুর দ্বিতীয় কর্মসূচি সফলে মরিয়া বিজেপি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Suvendu Adhikari
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE