শেষ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষার পড়ুয়া পঁয়ষট্টি-উত্তীর্ণ আনোয়ার হোসেনের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে লড়াই করা হচ্ছে না।
আনোয়ারের মনোনয়নপত্র আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য বাতিল হওয়া সব প্রার্থীকেই ডাকা হয়েছিল মঙ্গলবার। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব চলবে না বলে জানিয়ে দেওয়ায় আনোয়ার আর আত্মপক্ষ সমর্থন করতে আসেননি। কারণ, গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের কারণেই তাঁকে দাঁড় করানো হয়েছিল। সোমবার বিবদমান টিএমসিপি-র দুই পক্ষকে নিয়ে এক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে বয়স্ক কাউকে প্রার্থী করা চলবে না। এ সব তিনি মেনে নেবেন না। মঙ্গলবার টিএমসিপির তরফে মন্ত্রীকে একটি প্রার্থী-তালিকা দিয়ে আসা হয়েছে।
হাওড়ার মুন্সিডাঙা মৌলানা আবুল কালাম আজাদ মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি সার্টিফিকেট কোর্সের ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) একটি গোষ্ঠী তাঁকে প্রার্থী করেছিল। কিন্তু এই নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ধ্রুবরঞ্জন দণ্ডপাট আগেই বলেছিলেন, ‘‘আনোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্রে কিছু ত্রুটি ছিল। তাই মনোনোয়ন বাতিল হয়েছে।’’ তবে তিনি যে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে আসতে পারেন, সেটাও জানিয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়।
এ দিন আনোয়ার অবশ্য জানিয়ে দেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে লড়াই করার খুবই ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এ-যাত্রায় আর তা হল না।’’ এই সার্টিফিকেট কোর্সগুলি এক বছরের হয়। তাই পরের বছরে তিনি যে আর লড়াই করার সুযোগ পাবেন না, সেটাও জানিয়ে দেন আনোয়ার নিজেই।
এ দিন কড়া নিরাপত্তায় মনোনয়নপত্র যাচাই পর্ব চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে বহিরাগত, এমনকী সংবাদমাধ্যমের ঢোকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বেশ কয়েক জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলেও জানান এক কর্তা।