Advertisement
E-Paper

ভাল শিক্ষকদের পাঠের ভাগ পাবে অন্য স্কুলও

ভাল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পড়ানো ভাগ করে দিতে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’ ও ‘ব্লু-টুথ’ প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের কর্তাদের মতে, এখন বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছেই ‘স্মার্ট ফোন’ আছে।

সৌমেন দত্ত

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৮ ০৩:২২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কেউ ইংরেজি ভাল পড়ান। কেউ আবার বিজ্ঞান বুঝিয়ে দেন জলের মতো করে। ‘ওই স্কুলের অঙ্কের স্যর আমাদের পড়ালে আরও ভাল শেখা যেত’, এমন আক্ষেপ শোনা যায় অনেক পড়ুয়ার মুখে।

ভাল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পড়ানো ভাগ করে দিতে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’ ও ‘ব্লু-টুথ’ প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের কর্তাদের মতে, এখন বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকার কাছেই ‘স্মার্ট ফোন’ আছে। তাঁরা সেই ফোনের মাধ্যমে অন্য স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কী ভাবে পড়াচ্ছেন, তা ক্লাসে পড়ুয়াদের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। ফলে, পড়ুয়াদের মধ্যে ভিন্-ঘরানার পদ্ধতিতে নতুন জিনিস শেখার আশায় ক্লাস করার তাগিদ যেমন বাড়বে, শিক্ষক-শিক্ষিকারাও পড়ানোর অন্য পদ্ধতি শিখবেন।

গত জুলাইতে জেলার ৬৯টি স্কুলকে নিয়ে ‘উত্তরণ’ প্রকল্প চালু করে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক ছাড়াও প্রতিটি স্কুলের মাথায় ছিলেন বিডিও, মহকুমাশাসক-সহ আইএএস এবং ডব্লুবিসিএস পদমর্যাদার অফিসারেরা। পনেরো দিন অন্তর ওই সব স্কুল পরিদর্শনের পরে তাঁদের মনে হয়েছে, পড়ানোর ক্ষেত্রে কিছু স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কিছু ‘ঘাটতি’ থাকছে। আবার, ওই সব ক্ষেত্রে অন্য স্কুলে ভাল শিক্ষক-শিক্ষিকারা রয়েছেন।

জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “উত্তরণ প্রকল্পের মাধ্যমেই আমরা পড়া আদান-প্রদান করে পড়ুয়াদের মানোন্নয়ন করতে চাইছি।’’ তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে জেলার একশোটি স্কুলকে জেলা প্রশাসন ‘ব্লু-টুথ স্পিকার’ দেবে।

Smartphone স্মার্ট ফোন English
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy