(বাঁ দিকে) সিভি আনন্দ বোস। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
এ বার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভাষণ ছাড়া। রাজ্য সরকার এবং স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। প্রধান বিরোধীদল বিজেপিও সরকারের এমন অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। সোমবার অধিবেশনের প্রথম দিন স্পিকার জানিয়েছিলেন, কী ভাবে বাজেট অধিবেশনের সূত্রপাত রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়াই সম্ভব হয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেবেন তিনি। সেই ঘোষণা মতোই বুধবার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে নিজের অবস্থান জানালেন বিমান।
স্পিকার বলেন, ‘‘রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়াটা কোনও বেআইনি বিষয় নয়। এটা সংবিধানবহির্ভূত নয়, সংসদীয় রীতিবহির্ভূতও নয়। ১৯৬২ সালের সংসদে একই ভাবে আগের অধিবেশন মুলতুবি করা হয়েছিল। সেবার রাষ্ট্রপতির ভাষণ ছাড়াই সংসদের বাজেট অধিবেশন বসেছিল। ২০০৪ সালেও একই ঘটনা ঘটেছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে অধিবেশন এখন চলছে, তা গত বছর শীতকালীন অধিবেশনেরই ধারাবাহিকতা। এটি এই বছরের প্রথম অধিবেশন নয়। কারণ, গত অধিবেশনেরই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এই অধিবেশনটি হচ্ছে । তাই রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে এই বাজেট অধিবেশন শুরু করতে হবে এমন কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না। ফলে আমি এই অধিবেশন শুরুর আহ্বান জানিয়েছি।’’
স্পিকারের এমন মন্তব্যের পাল্টা বিজেপির বিধায়ক তথা অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘আমরা সবাই জানি ১৯৬২ সালে চিন ভারত আক্রমণ করেছিল। একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছিল সেই সময়। সেই কারণেই সংসদের অধিবেশন মুলতুবি করে রাখা হয়েছিল। এখন কিন্তু সেরকম কোনও পরিস্থিতি নেই। তা হলে কেন এটা করা হল?’’ তার জবাবে স্পিকার বলেন, ‘‘আপনি ১৯৬২ সালের কথা বলছেন ঠিকই। কিন্তু ২০০৪ সালেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তাই এই অধিবেশনকে বেআইনি বা অসংবিধানিক বলা যাবে না।’’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ করবেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এ বছর লোকসভা নির্বাচনের কারণে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। লোকসভা নির্বাচনের পর নতুন সরকার গঠন হলে সেই নতুন সরকার ফের বাজেট পেশ করবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাছেও আবার বাজেট পেশ করার সুযোগ থাকছে। সেই অধিবেশন রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হতে পারে। তবে লোকসভা নির্বাচনের পর ফের বাজেট পেশ করার কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত দেয়নি রাজ্য সরকার। আর চলতি অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণ না থাকা নিয়ে বুধবার পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি রাজভবনও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy