শীতে কুয়াশার কারণে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি দৃশ্যমানতা কম থাকার পরিস্থিতিতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। কুয়াশায় দূরবর্তী সিগন্যাল ঠিক মতো দেখতে না পাওয়ার সমস্যা ছাড়াও রাতে আকস্মিক ভাবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে রেললাইনে ফাটল ধরার মতো পরিস্থিতিও দেখা দেয়। ওই অবস্থায় দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজন হয়। আসন্ন শীতে যাবতীয় সতর্কতা বজায় রেখে কী ভাবে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা রক্ষা করা যাবে, সেই সম্পর্কে মঙ্গলবার রেলের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী এবং আধিকারিকদের নিয়ে শিয়ালদহ ডিভিশনে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হল। যাত্রিবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, স্টেশন মাস্টার, ট্র্যাফিক ইনস্পেক্টর, লাইন রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের কর্মী-সহ প্রায় ১৭০ জন ওই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বলে রেল সূত্রের খবর। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার রাজীব সাক্সেনা। ছিলেন সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশন্স ম্যানেজার, সিগন্যাল এবং টেলিকম বিভাগ-সহ একাধিক বিভাগের শীর্ষকর্তারা।
আলোচনায় শীতে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে রেলের নিজস্ব প্রস্তুতি এবং কর্মী ও আধিকারিকদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
শীতে যাত্রীদের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে কম দৃশ্যমানতার ক্ষেত্রে গতি নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও লাইনের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ডবল লাইনে প্রতি ২ কিলোমিটার দূরত্বে এক জন করে এবং সিঙ্গল লাইনে প্রতি ৪ কিলোমিটার পথে এক জন করে ট্র্যাকম্যান রাখার কথা জানানো হয়েছে। তাঁদের গতিবিধি কন্ট্রোল রুম থেকে িজপিএস-এর মাধ্যমে জানা যাবে।
এ ছাড়াও রাতে রেললাইনের বিভিন্ন সঙ্কেতজ্ঞাপক বোর্ড যাতে চালক সহজে দেখতে পান, তার জন্য ফ্লুরোসেন্ট রং ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সিগন্যালিং ব্যবস্থায় উজ্জ্বল এল ই ডি আলোর ব্যবহার করা হচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে প্রতি ক্ষেত্রে সতর্কতার যাবতীয় প্রস্তুতি ও তার উপযুক্ত প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতন থাকার কথা বলা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)