Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari: সরকার যাবে আগেই, ভোট ২৪-এ, ব্যাখ্যা শুভেন্দুর

রাজ্যপালের কাছেও এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। তাই এখন বিরোধী দলনেতা এই ব্যাখ্যা দিচ্ছেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২২ ০৬:০৬
Share: Save:

রাজ্যে আগামী বিধানসভা ভোট ২০২৪ সালেই হয়ে যাবে বলে ফের দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, আর্থিক বিশৃঙ্খলার কারণেই রাজ্যে সরকারের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাবে!

কয়েক দিন আগেই মহারাষ্ট্রের সরকারের সঙ্কটের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড হয়ে একই রকমের ঘটনা বাংলাতেও ঘটবে। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিরোধী দলনেতার ওই বক্তব্যের মধ্যেই বিজেপির কলকাঠি নেড়ে সরকার ফেলে দেওয়ার ‘অভিসন্ধি’ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রাজ্যপালের কাছেও এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। তাই এখন বিরোধী দলনেতা এই ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। যদিও বিজেপি নেতারা পাল্টা বলছেন, মহারাষ্ট্রের ঘটনার আগেও বাঁকুড়ার সোনামুখী, উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর-সহ একাধিক জায়গায় শুভেন্দু এই আর্থিক অব্যবস্থার কথা বলেছেন।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বুধবার বিজেপির প্রতিনিধিদলের সাক্ষাতের পরে শুভেন্দু বলেছেন, ‘‘আবার একই কথা বলছি, ২০২৪ সালে রাজ্যে ভোট হয়ে যাবে। কখন কী হয়ে যায়, কে বলতে পারে!’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘তৃণমূলের সাংসদেরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে গিয়ে রাজ্যের জন্য টাকা চাইছেন। যে ভাবে ঋণ করে চালিয়েছেন, এফআরবিএম পার করে গিয়েছে। আর ঋণ পাবেন না। কর্মীদের বেতনও দেওয়ার জায়গা থাকবে না। ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যাবে!’’ বিরোধী দলনেতার দাবি, জাতীয় স্তরে কোনও ভূমিকা হবে না, মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যে বসেই তাঁর সরকারের পতন দেখতে হবে।

রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা কটাক্ষ, ‘‘এগুলো জগদীপদা’র কোচিং-এর ফল! রাজ্যে ২০২৪ সালে সরকার ফেলে দেওয়ার যে হুমকি শুভেন্দু দিচ্ছেন, আমরা তা নিয়ে রাজ্যপালকে অভিযোগ করেছিলাম। উনি দেখেছেন, বিপদ! তাই শুভেন্দুদের কোচিং দিয়েছেন। ওঁরাও সে সব বলছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suvendu Adhikari
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE