Advertisement
E-Paper

নোংরা মেঝেয় চিকিৎসা, মন্ত্রীকে চিঠি শিক্ষকের

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খেলতে গিয়ে স্মারক পড়ে যায়। তার কোমরে আঘাত লাগে। স্মারককে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়।  সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। 

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:২৬
হাসপাতালের মেঝেতে স্কুল ছাত্র। —নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালের মেঝেতে স্কুল ছাত্র। —নিজস্ব চিত্র

স্কুলের ছাত্র আঘাত পেয়ে চিকিৎসাধীন কাঁথি হাসপাতালে। তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক। অভিযোগ, সেখানে নোংরার মধ্যে মেঝেতে ওই ছাত্রকে বসে থাকতে দেখেন তিনি। এর পরেই হাসপাতালের ‘অব্যবস্থা’ নিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী তথা দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে চিঠি দিয়ে জানালেন ওই শিক্ষক।

মামুদ হোসেন নামে ওই ব্যক্তি বনমালীচট্টা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক. তিনি জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা স্মারক মুদি নামে এক কিশোর বনমালীচট্টা হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সে স্কুলের হস্টেলেই থাকে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খেলতে গিয়ে স্মারক পড়ে যায়। তার কোমরে আঘাত লাগে। স্মারককে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি কাঁথি হাসপাতালে স্মারককে দেখতে আসেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাঁর অভিযোগ, তিনি হাসপাতালে গিয়ে দেখেনে, স্মারকের চিকিৎসা হচ্ছে মেঝেতে বিছানা পেতে। যেখানে সে রয়েছে, সেই এলাকায় পড়েছিল নোংরা। মেঝেতেও ছোপ ছোপ দাগ ছিল বলে মামুদের অভিযোগ। মামুদ বলেন, ‘‘এমন অব্যবস্থা দেখে আমি তা হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার সৌমেন পণ্ডার দৃষ্টি আকর্ষণ করি। পরে এ ব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।’’

এ ব্যাপারে কাঁথি হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালে যত জন রোগীর শয্যা রয়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি রোগী এখানে ভর্তি হতে আসেন। ফলে বিভিন্ন ওয়ার্ডে অনেক সময় শয্যা পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে রোগীকে অন্যত্র রেফার করা হয়। বা রোগীর পরিজনের অনুমতিতে নীচে বিছানা করে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। স্মারকের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। উল্লেখ্য, কাঁথি হাসপাতালে ২০০’র মতো শয্যা রয়েছে, কিন্তু প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ২৭৫ জন রোগী হাসপাতালে আসেন বলে খবর।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই ছাত্রকে ফিরিয়ে না দিয়ে মেঝেতে রেখেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়। স্মারককে হাসপাতালের বারান্দায় রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। হাসপাতালের ওই অংশ দিয়ে বিভিন্ন ওষুধপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। হাটা চলার জন্য নোংরা হয় ওই জায়গা। কিন্তু হাসপাতালের কর্মীরা বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিষ্কার করার পরে ওই অংশগুলিও পরিষ্কার করা হয় বলে দাবি।

হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ছাত্রটি যেখানে রয়েছে, সেটি ওয়ার্ডের অংশ নয়। হাসপাতালে ডায়ালিসিস ব্যবস্থা চালু করার জন্য জায়গা ফাঁকা করা হচ্ছে। পাশেই ৩০০ শ্যায্যার নতুন হাসপাতাল গড়ার কাজ শেষের পথে। সিফটিংয়ের কাজ চলছে। জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই জায়গায় কিছুটা ময়লা ছিল। ওয়ার্ড মাস্টার সৌমেনবাবু বিষয়টি জানার পরেই কর্মীদের ডেকে জায়গাটি পরিষ্কার করে দেন।’’

Contai Chandrima Bhattacharya
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy