Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
hooghly

পোলবায় নয়ানজুলিতে পুলকার, আহত পড়ুয়াদের গ্রিন করিডরে আনা হল কলকাতায়

আহত পড়ুয়াদের শ্রীরামপুর থেকে গ্রিন করিডরের মাধ্যমে কলকাতায় এনে এসএসকেএম-এ ভর্তি করানো হয়েছে।

ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা এক আহত পড়ুয়া—নিজস্ব চিত্র।

ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা এক আহত পড়ুয়া—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৪:০২
Share: Save:

হুগলির পোলবার কাছে পড়ুয়া বোঝাই একটি পুলকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে উল্টে গেল নয়ানজুলিতে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন পুলকারের চালক-সহ চার পড়ুয়া। আহতদের মধ্যে দু’জনকে গ্রিন করিডর তৈরি করে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া ওই দুই ছাত্রের নাম দিব্যাংশু ভগত এবং ঋষভ সিংহ।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে শ্রীরামপুর থেকে দিল্লি রোড ধরে চুঁচুড়ার দিকে যাচ্ছিল ওই পুলকারটি। চুচুঁড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রায় ১৮ জন পড়ুয়া ছিল গাড়িতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বেশ ভাল গতিতেই গাড়িটি এগিয়ে যাচ্ছিল সুগন্ধা মোড়ের দিকে। তখনই হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে উল্টে যায় গাড়িটি।

স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধারকাজে নামেন। তাঁরাই পড়ুয়া এবং গাড়িচালককে উদ্ধার করেন। চালক ছাড়াও পাঁচ পড়ুয়াকে পাঠানো হয় চুঁচুড়া হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় দুই পড়ুয়াকে। ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয় দুই পড়ুয়াকে। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার খবর পেয়েই আমি আহতদের কলকাতায় পাঠানোর ব্যাবস্থা করতে বলি, রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহের সঙ্গে কথা বলে গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা হয়।”

আরও পড়ুন: কুষ্ঠ-যুদ্ধে ‘সাফল্যে’ সন্দেহ স্বাস্থ্যকর্তার!

ক্রেন দিয়ে নয়ানজুলি থেকে তোলা হচ্ছে পুলকারটি-নিজস্ব চিত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ দুর্ঘটনার জন্য দিল্লি রোডের বেহাল দশাকেই দায়ী করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই রাস্তায় দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তাঁদের আরও অভিযোগ, স্কুলের সময়ে দেরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পড়ুয়াদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই পুলকারের চালক বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালান। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই পুলকারের চালক পবিত্র বিশ্বাস বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার গাড়ির সামনে একটা লরি ছিল। সুগন্ধা মোড়ের আগে আইল্যান্ডের কাছে হঠাৎ করেই ওই লরিটি ব্রেক কষে বাঁ দিকে বাঁক নিয়ে ইউ টার্ন করে। আমার গাড়ি তত ক্ষণে পেরিয়ে এসেছে লরিটি। কিন্তু শেষ মূহূর্তে আমার গাড়ির পিছনের অংশে ধাক্কা লাগে লরির। সঙ্গে সঙ্গে আমার গাড়ি নয়ানজুলির দিকে এগিয়ে যায়। আমি সামলাতে পারিনি।”

আরও পড়ুন: শিল্প সংস্থায় কাজ বন্ধ নয়, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

পুলিশ সূত্রে খবর, তৃতীয় পড়ুয়াকে প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। তবে তার অবস্থার উন্নতি হওয়ায় আপাতত চুঁচুড়া হাসপাতালেই চিকিৎসা করা হবে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, চিকিৎসাধীন দুই পড়ুয়া চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hooghly Polba Pool Car Pool Car Accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE