ফাইল চিত্র।
ছিল পুলিশের কাজে বাধা দান, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট থেকে পুলিশকে মারাত্মক আঘাত করার মতো গুরুতর অভিযোগ। পুলিশের আঘাতের নথি খতিয়ে না-দেখে তাই বিচারক অভিযুক্তদের জামিন দিতে চাননি। শুক্রবার সেই ‘ইনজুরি রিপোর্ট’ দেখার পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন জেল-বন্দি পড়ুযাকে জামিন দিলেন বারুইপুরের অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট। বিচারক তাঁর নির্দেশে বলেছেন, জেল-বন্দি ছাত্রছাত্রীদের আর জেলে আটকে রাখার কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না।
ছাত্রছাত্রীরা পুলিশকে প্ররোচনা ছাড়াই আক্রমণ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছিল। এ দিনের নির্দেশে পুলিশের এক রকম মুখ পুড়ল বলেই আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন। তবে পুলিশ এ বিষয়ে কিছু বলতে চাইছে না।
গত সোমবার নরেন্দ্রপুর থানায় একটি বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। প্রতিবাদীদের মধ্যে দু’জন ছাত্রীকে বুধবার অন্তর্বর্তী জামিন দেন বিচারক। তাঁদের এক জনের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছিল এবং আর এক জন আহত হয়েছিলেন বলে আদালতে রিপোর্ট পেশ হয়। পুলিশকেও মারধর করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল। যদিও তখনও পুলিশকর্মীদের ‘ইনজুরি রিপোর্ট’ আদালতে পৌঁছয়নি।
এ দিন ২০০০ টাকা করে জরিমানা করে পড়ুয়াদের জামিন দিয়েছেন বিচারক। পড়ুয়াদের অন্যতম আইনজীবী সোমনাথ মিস্ত্রি বলেন, সোমবার রাত ন’টা নাগাদ থানা থেকেই প্রথমে জামিন পান গুটিকয়েক পড়ুয়া। বাইরে আরও কয়েক জন তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন এবং স্লোগান দিচ্ছিলেন। সামান্য প্রতিবাদের জন্য ফের আটকে রেখে তাঁদের মারধর গণতন্ত্রের জন্য ভাল নয়।’’
জামিন পাওয়া এক ছাত্রীও এ দিন বলেন, “মনে হচ্ছিল প্রতিহিংসা মেটাতেই পুলিশ প্রচণ্ড মারছে, আটকে রাখছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy