Advertisement
E-Paper

বানের জলে ভেঙেছে বাড়ি, বেতনের পাঁচ লক্ষ টাকা দিলেন শুভেন্দু, চেক হাতে কেঁদে ফেললেন গণেশচন্দ্র

পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জন্দড়ায় ভাঙনস্থল ঘুরে দেখার সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন গণেশচন্দ্র ভুঁইয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তাঁরা জানান, তাঁদের দোতলা বাড়ি জলের তোড়ে উল্টে গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৬
Subhendu Adhikari helped the resident of Panskura by giving five lakh

(বাঁ দিকে) শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারীকে কাছে পেয়ে কেঁদেছিলেন গণেশচন্দ্র ভুঁইয়া এবং রবিবার চেক হাতে পেয়ে কাঁদলেন তিনি (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

বন্যা পরিস্থিতি দেখতে শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন এক ব্যক্তি। শুভেন্দুর কাছে তিনি জানিয়েছিলেন, বন্যার জলে ভেঙে পড়েছে তাঁর বাড়ি। অসহায় সেই বাসিন্দাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বিরোধী দলনেতা আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাঁর বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য করবেন। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই সাহায্য পৌঁছে গেল ভাঙা বাড়ির মালিকের কাছে। চেক হাতে পেয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।

টানা বৃষ্টি এবং ডিভিসির জল ছাড়ার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা বানভাসি। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান বেশি প্রভাবিত হয়েছে। কৃষিজমি থেকে রাস্তাঘাট— বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়েছে গ্রামের মধ্যে। বন্যাবিধ্বস্ত এলাকার জনজীবন বিপন্ন। শুক্রবার পাঁশকুড়ার তেমনই এক এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জন্দড়ায় ভাঙনস্থল ঘুরে দেখার সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন গণেশচন্দ্র ভুঁইয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। তাঁরা জানান, তাঁদের দোতলা বাড়ি জলের তোড়ে উল্টে গিয়েছে।

শুভেন্দুকে কাছে পেয়ে একরাশ অভিযোগ উগরে দেন গণেশ। তাঁর অভিযোগ, বাঁধের ধস আটকাতে সেচ দফতরকে জানিয়েছিলেন। সেচ দফতরের ঠিকাদার কয়েকটি বস্তা দিয়ে চলে যান। বাঁধ মেরামত করেনি। তাঁদের দুর্দশার কথা শুনে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন শুভেন্দু। সেই মতো রবিবার সকালেই পাঁচ লক্ষ টাকার চেক গণেশের পরিবারকে পৌঁছে দেন তাঁর প্রতিনিধিরা। শুভেন্দু তাঁর মাসিক বেতন থেকেই সেই টাকা তুলে দিয়েছেন বন্যাদুর্গতের হাতে।

বৃহস্পতিবার পাঁশকুড়ার বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই এলাকায় গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার শুভেন্দু জন্দড়াতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘‘মেদিনীপুরে লোক মানেই আমার আত্মীয়। তবে আমি সরকার নই। বন্যার প্রথম থেকে যতটা পেরেছি এলাকার জন্য করেছি।’’ সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে ঠিকাদারেরা গত তিন বছর ধরে কোনও টাকা পাননি। টাকা না পেলে তাঁরা কাজ করবেন কী ভাবে? জন্দড়া ছাড়াও মঙ্গলদ্বারি ঘুরে দেখেন শুভেন্দু। বিলি করেন ত্রাণ। সে সময়ই গণেশকে বাড়ি তৈরির টাকা দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন।

Purba Medinipur Suvendu Adhikari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy