চাকরি পাকা হচ্ছে না। বেতনও বাড়ানো হচ্ছে না প্রায় ১৮ বছর। পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে না পেরে স্বাধীনতা দিবসে আত্মহননের অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি পাঠালেন ডিভিসির এক অস্থায়ী কর্মী।
তারক সিকদার নামে ওই কর্মীর বক্তব্য, সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ডিভিসি-তে ৩০ বছর ধরে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে তিনি কাজ করে আসছেন। আগে অস্থায়ী কর্মীদের মধ্যে থেকে ওই সংস্থায় গ্রুপ সি বা ডি পদে স্থায়ীকরণ হলেও ১৯৯৮ সাল থেকে সে সব বন্ধ। রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো চিঠিতে তারকবাবু লিখেছেন, ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহু বার আলোচনা হয়েছে তাঁদের সমস্যা নিয়ে। স্থায়ীকরণ না হওয়া পর্যন্ত মাসে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। এই অবস্থায় মাসে ৬ হাজার টাকায় দুর্মূল্যের বাজারে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে, মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায়নি। অস্থায়ী কর্মীদের ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবে সংস্থার কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের কথা বহু বার সহকর্মীদের শুনিয়েও কোনও কাজ না হওয়ায় তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতাও হারিয়েছে। তাই আগামী ১৫ অগস্ট কলকাতায় ডিভিসি-র কার্যালয়ের সামনে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চান বলে রাষ্ট্রপতিকে লিখেছেন তারকবাবু। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের কাছেও।
শ্রমিকদের সমস্যার ভয়াবহতা উল্লেখ করে ইউটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষ বলেন, ‘‘অস্থায়ী কর্মীদের পক্ষে জীবনধারণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একেবারে অপারগ হয়েই ওই কর্মী এমন চিঠি লিখতে বাধ্য হয়েছেন।’’ ডিভিসি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা না গেলেও সংস্থার একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, ডিভিসি তাদের নিয়ম মেনেই চলে। আলাদা করে কাউকে বঞ্চিত করার প্রশ্ন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy