Advertisement
০৭ মে ২০২৪

তিন মাস চাইলেন পর্যবেক্ষক

রবিবার বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু।

বক্তা: যদুভট্ট মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার। ছবি: শুভ্র মিত্র

বক্তা: যদুভট্ট মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার। ছবি: শুভ্র মিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বিষ্ণুপুর ও ওন্দা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

লোকসভা ভোটে জেলায় হারের কারণ হিসাবে ধর্মীয় মেরুকরণ আর বামের ভোট বিজেপিতে যাওয়ার কথাই বললেন তৃণমূলের বাঁকুড়ার নতুন পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। তবে এরই সঙ্গে বলে গেলেন, ‘‘আরও নত হয়ে আমাদের মানুষের কাজ করতে হবে।”

রবিবার বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে লোকসভা ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু। বাঁকুড়া জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্র। বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর। প্রতিটি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে সাতটি করে বিধানসভা। বাঁকুড়ার সাতটিতেই ভোটপ্রাপ্তিতে বিজেপির থেকে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। বিষ্ণুপুরের ৬টিতে একই দশা। সেখানে শুধু খণ্ডঘোষে তৃণমূল এগিয়ে, যে কেন্দ্র পূর্ব বর্ধমান জেলায় পড়ে। লোকসভার ফল বেরনোর পরেই জেলায় দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজায় রাজ্যের শাসকদল। সাংগঠনিক জেলা হিসাবে ভাগ করা হয় বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুরকে। সামলানোর দায়িত্ব পান যথাক্রমে শুভাশিস বটব্যাল ও শ্যামল সাঁতরা। বাঁকুড়ার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পান শুভেন্দু অধিকারী।

এ দিনের বৈঠকে শ্যামলবাবু এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত ব্লক সভাপতিকে আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করতে বলেছেন। নির্দেশ দিয়েছেন, দলীয় কোনও কাজে কোথা থেকে টাকা আসছে, কত টাকা খরচ হচ্ছে, তার বিস্তারিত হিসাব দলকে দিতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘অার্থিক স্বচ্ছতা দলকে আরও শক্তিশালী করবে।’’

দায়িত্ব পাওয়ার পরে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জেলায় এলেন শুভেন্দু। এ দিনের বৈঠকে তিনি বক্তৃতা শুরু করার পরেই মঞ্চের নীচে সামনের সারিতে বসে থাকা কর্মীদের মধ্যে হইচই শুরু হয়েছিল। মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “বৈঠকে এসে কমেন্ট করবেন না। দরকার হলে এই সব লোকজনকে বাদ দিয়ে দল চালাব। অনেক ভাল কর্মী ঘরে বসে রয়েছেন। তাঁদের নিয়ে এসে শূন্যস্থান পুরণ করব।” যুক্ত করেন, “তিন মাসের মধ্যে যদি ভুল ত্রুটি শুধরে দলটাকে তুলে ধরতে না পারি তখন আপনারা আমাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন।”

বৈঠক থেকে দলকে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু। কর্মীদের বলে গিয়েছেন, আগামী বছর পুরভোট ও তার পরে বিধানসভা ভোট। এর মধ্যেই সংগঠনকে ঠিক করে নিতে হবে। লোকসভা ভোটে জেলায় তৃণমূলের হারের জন্য ধর্মীয় মেরুকরণ ও সিপিএমের ভোট বিজেপিতে চলে যাওয়াকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “গোটা রাজ্যে আমাদের ভোট বেড়েছে। লোকসভায় ফলাফলের নিরিখেও রাজ্যে ১৬৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে আমরা জয়ী হয়েছি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে গেলে এই সংখ্যা যথেষ্ট। তাই লোকসভা ভোটের ফলাফলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।”

এ দিন তিনি সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অমিয় পাত্র ও তালড্যাংরার প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা মনোরঞ্জন পাত্রের নাম করে বলেন, “অমিয় পাত্র, মনরঞ্জন পাত্রেরা সিপিএমের ভোট প্রচার করে ভোট দিয়েছেন বিজেপিতে।’’ অমিয়বাবুর এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া, ‘‘লোকসভা ভোটে ধাক্কা খেয়ে মাথাটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই প্রলাপ বকছেন।”

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suvendu Adhikari TMC BJP Lok Sabha Election 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE