তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে কোচবিহারের তিন দলীয় বিধায়কের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। সেই অভিযোগকে সামনে রেখে এ বার কোচবিহারের পুলিশ সুপার দফতর অভিযানের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর সঙ্গেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু। তৃণমূল যদিও হামলার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক কালে কোচবিহারের শীতলখুচির সুশীল বর্মণ, কোচবিহার দক্ষিণের নিখিলরঞ্জন দে, মাথাভাঙার বরেন বর্মণ, এই তিন বিধায়কের উপরে হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার বিরোধী দলনেতা বলেছেন, “আমরা বিধায়কেরা মিলে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দফতর অভিযান করব। উদয়ন গুহ এবং জগদীশ বসুনিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী এই সব হামলা হচ্ছে। হার নিশ্চিত জেনে ওঁরা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছেন।” এর পাশাপাশি, পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে তুলে কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চেরও দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি। সংশ্লিষ্ট তিন থানা দিনহাটা, মাথাভাঙা এবং শিতলখুচির ওসি, আইসি এবং কোচবিহারের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে এ দিন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
যদিও রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন পাল্টা বলেছেন, “বিরোধী দলনেতা অবশ্যই কোচবিহারে আসুন, পুলিশ-আদালত যেখানে খুশি যান। কিন্তু ওঁদের কোনও বিধায়ক আক্রান্ত হননি। বরং আমাদের এক পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীর উপরে চড়াও হয়েছে বিজেপি।”
এ দিকে, কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে খুনের ঘটনায় নারকেলডাঙা থানার তৎকালীন ওসি-সহ চার জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎকে পাশে নিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, “লড়াইয়ের ফলে সিবিআই নড়েচড়ে বসেছে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে ১৯ জন গুন্ডার তালিকা দিয়েছিল, তাতে উদয়নের নাম আছে। পরেশ পাল, স্বপন সমাদ্দারদের মতো অবস্থা হবে উদয়নের।”
পাশাপাশি, নিজাম প্যালেসে শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের হার নিশ্চিত জেনে নন্দীগ্রামের দু’টি সমবায়ের নির্বাচন পুলিশ সুপার বন্ধ রেখেছিলেন। আমানতকারী, প্রার্থীদের করা মামলায় আদালত তাঁকে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। লিখিত ভাবে আদালতের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে ‘দৃষ্টান্ত’ হিসেবে তুলে ধরে শুভেন্দু বলেছেন, “গরু, কয়লা পাচারে একাধিক আইপিএস-কে ইডি, সিবিআই তলব করেছে। রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ না-হলে নারকেলডাঙা থানার প্রাক্তন ওসির মতো অবস্থা হবে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)