রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের স্লোগান ছিল, ‘নো ভোট টু বিজেপি’। এ বার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করলেন, পরবর্তী নির্বাচনে ‘নো ভোট টু মমতা’ (বন্দ্যোপাধ্যায়) মনোভাব নিয়ে মানুষ তৈরি হবেন। তাঁর দাবি, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের জোট হবে। বিভিন্ন বিরোধী দল তাদের আদর্শ ও পতাকা বাঁচিয়েই তৃণমূলকে হারানোর অভিন্ন লক্ষ্যে লড়াই করবে। বামেরা অবশ্য শুভেন্দুর জোটের তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা দাবি করেছে, লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে যেখানে যে শক্তিশালী, তাকেই মানুষ ভোট দেবেন।
বিরোধী দলনেতা বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘মানুষ যাতে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারেন, তা দেখার দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে।’’ এই প্রসঙ্গে সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন তিনি। সাগরদিঘিতে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারায় শাসক দলকে হারতে হয়েছে, এই কথাই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন বলে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের ব্যাখ্যা। রাজ্য তৃণমূলের সাঝারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত মেনে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে যে রাজ্যে যে শক্তিশালী, তাকেই ভোট দেবে। এই নিয়ে বিজেপি এতই আতঙ্কিত যে শয়নে, স্বপনে, জাগরণে এই কথাই মুখ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে!’’ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর সরল জীবনযাত্রার প্রসঙ্গও এ দিন টেনেছিলেন শুভেন্দু। বিমানবাবু যদিও স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘শুভেন্দু কেন এ সব বলেছেন, উনিই জানেন। ওঁর দলকে চালায় আরএসএস। আমরা আরএসএস-বিজেপির সঙ্গে নেই। বিজেপি ও তৃণমূল, দুই শক্তির বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)