প্রতীকী চিত্র।
মুখে মুখে তাৎক্ষণিক তিন তালাক যে অবৈধ, সে কথা আগেই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ বার অতি চালাকি করে সাদা কাগজে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সই করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে।
সই হয়ে যেতেই তরুণীর স্বামী বলে, ‘‘ব্যস, তালাক হয়ে গেল। এ বার বাপের বাড়ি চলে যাও। বাইরে গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’
শুক্রবার বিকেলে স্বামীর মুখে এমন কথা শুনে চমকে উঠেছিলেন বছর একুশের তরুণী। কিন্তু মুখে কিছু বলেননি। স্বামী যদি ফের মারধর করে! মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে গাড়ি রওনা দেয় নদিয়ার করিমপুরের উদ্দেশে। কিন্তু নওদার পিঁপড়েখালি এলাকায় চলন্ত গাড়ি থেকে আচমকাই ঝাঁপ দেন তরুণী। তাঁর দাবি, ‘‘এ ভাবে তালাক দেওয়া যায় নাকি! গাড়ি থেকে নেমে থানায় যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু চালক গাড়ি তো থামালই না, উল্টে ভুল রাস্তায় নিয়ে চলে যাচ্ছিল।’’
ঘটনার পরে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন চালক ও তাঁর সহকারী। মাথায় চোট লাগে তরুণীর। তাঁকে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
শনিবার হরিহরপাড়া থানায় অন্তঃসত্ত্বা ওই তরুণী তাঁর স্বামী-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ওসি কার্তিক মাজি জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচার, মারধর ও অবৈধ ভাবে তালাক দেওয়ার চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। অল ইন্ডিয়া ইমাম-মোয়াজ্জেম ওয়েলফেয়ার কমিটির হরিহরপাড়া ব্লকের সম্পাদক মহম্মদ গিয়াসউদ্দিন শেখ বলছেন, ‘‘ওই তরুণীর স্বামী যা করেছেন, তা বেআইনি। মেয়েটির আইনি লড়াইয়ে পাশে আছি।’’
তরুণী বলেন, ‘‘বাবা-মা নাবালিকা অবস্থায় বিয়ে দিয়েছে। পণের জন্য নিত্যদিন মার খাচ্ছি। এর আগে দু’বার গর্ভপাত হয়েছে। তার জন্যেও আমাকেই দায়ী করা হয়। এ বার সাদা কাগজে জোর করে সই করে নেওয়ার পরে বলল— তালাক! আর কত সহ্য করব বলুন তো!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy