Advertisement
১৮ মে ২০২৪

এ বার সরানো হচ্ছে ন্যানোর খোলও

শেড ভাঙার মধ্যেই সিঙ্গুরে টাটাদের প্রকল্প এলাকা থেকে ন্যানোর খোল সরানোর কাজও শুরু হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত কারখানা চালু না হলেও ওই প্রকল্পে ন্যানো গাড়ির কিছু খোল রয়ে গিয়েছিল।

নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব চিত্র।

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:০৫
Share: Save:

শেড ভাঙার মধ্যেই সিঙ্গুরে টাটাদের প্রকল্প এলাকা থেকে ন্যানোর খোল সরানোর কাজও শুরু হয়ে গেল।

শেষ পর্যন্ত কারখানা চালু না হলেও ওই প্রকল্পে ন্যানো গাড়ির কিছু খোল রয়ে গিয়েছিল। বুধবার দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে দেখা গেল, একটি শেডের কাছে প্রায় তামাটে হয়ে যাওয়া তেমনই একটি ন্যানোর খোল মাটির উপরে রাখা রয়েছে। বাইরে সংবাদমাধ্যমের ভিড় থাকায় রাতেরর অন্ধকারে সেই খোল বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানালেন প্রশাসনের এক কর্তা। এ দিন প্রকল্প এলাকায় ঘুরে যান রাজ্যের মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী দিনগুলিতে কী করতে হবে তা বাতলে দিয়ে যান তিনি।

ওই প্রকল্প এলাকার মোট ন’টি শেডে এখন যাবতীয় কর্মব্যস্ততা ‘কন্ট্রোলড ব্লাস্ট’কে ঘিরে। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে ডিনামাইট দিয়ে প্রকল্প এলাকার শেডের কংক্রিটের মেঝে ভাঙা চলছে। এ কাজে নিযুক্ত হয়েছেন প্রায় ১৮টি সংস্থার অন্তত আড়াই হাজার কর্মী। দিনরাত এক করে কাজ করছেন তাঁরা। দুধসাদা রঙের গাড়িতে আসছে বিস্ফোরক। যে গাড়িতে লেখা ‘এক্সপ্লোসিভ ভ্যান’। এই ভ্যানই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকল্প এলাকার যত্রতত্র। দুপুরের পর থেকে বড় বড় জেসিবি মেশিন প্রকল্প এলাকায় ঢুকতে থাকে। ভেঙে ফেলা শেডের অংশ বের করার কাজও শুরু হয়। অনেক সময়ই সেই সব গাড়ি থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া লোহার টুকরো গ্রামবাসীরা কুড়িয়ে সাইকেলে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন। ‘‘পুজোর মুখে বেচে দুটো পয়সার আশায়’’, জানালেন এক গ্রামবাসী।

‘কন্ট্রোলড ব্লাস্ট’-এর কাজে যুক্ত এক কর্মী জানান, লোক বেশি চলে আসায় কাজে গতি আসছে না। তা ছাড়া, অল্প এলাকা জুড়ে কাজ হচ্ছে। না হলে অঘটনের আশঙ্কা থাকে। তাঁরা প্রথমে কংক্রিটের মধ্যে গর্ত করে নিচ্ছেন। তার পরে সেখানে ডিনামাইট রেখে সকলকে অন্তত ৫০০-৬০০ মিটার নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছেন পুলিশ প্রশাসনকে বলে। তারপর তাঁরা নিজেরা বিস্ফোরণের এলাকা থেকে অন্তত ২০০ মিটার দূরে রাখা ডাম্পারের আড়ালে গিয়ে টেনে আনা তারের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন। ধুলোর ঝড় উড়ছে এলাকায়। প্রতিটি বিস্ফোরণে অন্তত দু’-আড়াই ঘণ্টা সময় লাগছে।

জমিকে চাষযোগ্য করে চাষিদের কাজে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তৎপরতার অভাব নেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে সেই কাজ হয়ে উঠবে কি না, সেই উত্তর জানতে আপাতত অপেক্ষা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Singur Tatas Nano project
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE