Advertisement
E-Paper

চা-বাগানে বোনাস নিয়ে বৈঠক

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নবান্নে বলেন, ‘‘পাহাড়ের চা-বাগানগুলি গত তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকেরা অনেক কষ্টে রয়েছেন। সেগুলি দ্রুত খুলতে মুখ্যসচিব মলয় দে বিভিন্ন সংগঠন ও মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। পুজোর আগে শ্রমিকদের বকেয়া (২০১৬-১৭) বোনাস মিটিয়ে দিতে তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:৩৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পাহাড়ের বন্ধ চা-বাগানে পুজোর আগে শ্রমিকদের বোনাস মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বাগান মালিকদের কাছে অনুরোধ জানাল রাজ্য সরকার। নবান্নে সোমবার প্রথমে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পরে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক চা-বাগান মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। শিলিগুড়িতে এর পরে ২১ সেপ্টেম্বর ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশা, সেই বৈঠকের পরেই সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুলবে।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন নবান্নে বলেন, ‘‘পাহাড়ের চা-বাগানগুলি গত তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকেরা অনেক কষ্টে রয়েছেন। সেগুলি দ্রুত খুলতে মুখ্যসচিব মলয় দে বিভিন্ন সংগঠন ও মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। পুজোর আগে শ্রমিকদের বকেয়া (২০১৬-১৭) বোনাস মিটিয়ে দিতে তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২১ তারিখের বৈঠকে মুখ্যসচিব এবং শ্রম কমিশনার থাকবেন। মালিক ও শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আশা করি, সে দিনই সমস্যা মিটে যাবে। না হলে সরকারকে অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই নেতা বিনয় তামাং ও অনীক থাপা এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁদের পাশে নিয়েই মমতা বলেন, ‘‘চা-বাগান খুলতে সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তা জানাতে ওঁরা দু’জন আমার কাছে এসেছিলেন। বৈঠকের পরে ওঁরাও খুশি।’’ পরে বিনয় বলেন, ‘‘আমরা পুজোর আগেই চা-শ্রমিকদের বকেয়া বোনাস মিটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছি। বাগানগুলি যাতে দ্রুত খোলে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই আবেদনও জানানো হয়েছে।’’

‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনে’র প্রেসিডেন্ট আজম মোনেম ও ‘দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনে’র সেক্রেটারি জেনারেল কৌশিক বসু এ দিন জানান, তাঁরা শিলিগুড়ির বৈঠকে যাবেন। তবে তাঁদের দাবি, বাগান খোলা থাকলেও শ্রমিকেরাই বাগানে আসছেন না। বোনাস দেওয়া নিয়ে স্পষ্ট কিছু ইঙ্গিত এ দিন মেলেনি। চা শিল্প মহলের দাবি, আগের বছরের কাজের হিসেবে প্রাপ্য হলেও এ বছরের ব্যবসার নগদ আয় থেকেই বোনাস দেওয়ার কথা। কিন্তু এ বার প্রায় ৭০% চা-ই তৈরি হয়নি। বাগান বন্ধ থাকায় তাদের নগদে টান পড়েছে। এক কর্তা বলেন, ‘‘বোনাসের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দিতে হবে। তা না পেলে সমস্যা হবে। সরকারেরও সহযোগিতা দরকার। আমরা চাই ব্যবসা করতে। কিন্তু বাস্তব অবস্থাটাও খতিয়ে দেখতে হবে।’’

Mamata Banerjee Tea Garden Bonus Darjeeling চা-বাগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy