এই মরসুমে তৃতীয় বার স্বাভাবিকের নীচে নামল কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম।
দিল্লির মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী দু’ তিন দিন দক্ষিণবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের প্রায় সর্বত্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২-৩ ডিগ্রি নীচেই থাকবে। রাতের কলকাতার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নীচে নেমে যেতে পারে। চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
মৌসম ভবন সূত্রের খবর, শুধু কলকাতা বা পূর্ব ভারত নয়, জাঁকিয়ে শীত পড়েছে গোটা দেশেই। রাজস্থানের অলওয়ারে রাতের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃহস্পতিবার দেশের সমতল এলাকাগুলির মধ্যে এটাই ছিল সব থেকে কম তাপমাত্রা।
আরও পড়ুন: কমছে পারদ, কাঁপছে রাজ্য-সহ গোটা দেশ
ডিসেম্বরে এক বার স্বাভাবিকের নীচে নেমেছিল রাতের কলকাতার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম)। শুক্রবার দমদমের তাপমাত্রা ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম), বোলপুরে ৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম) এবং আসানসোলে তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
এ দিকে ঘন কুয়াশার জেরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রায় সবকটি ট্রেনই অস্বাভাবিক দেরিতে চলছে। প্রায় ২০ ঘণ্টা দেরিতে চলছে নয়াদিল্লি-শিয়ালদহ রাজধানী এক্সপ্রেস। নয়াদিল্লি-হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেসেরও একই হাল। যদিও কুয়াশার জন্য বিমান পরিষেবায় তেমন কোনও সমস্যা বা দেরির খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ট্রেনের পাত্তা নেই, প্ল্যাটফর্মে ঠান্ডায় কাঁপছি ঠকঠক করে
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, একটি জোরালো ঝঞ্ঝার প্রভাবে কাশ্মীরে প্রবল তুষারপাত হয়েছে। তার জেরে আগামী ক’দিনে তাপমাত্রার পারদ আরও নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।