Advertisement
E-Paper

দেশজ জ়াইকোভ-ডি টিকা পরীক্ষা বাংলাতেও

প্রথমে দেশীয় কোভ্যাক্সিন, তার পরে রুশ স্পুটনিক-ভি টিকার তৃতীয় ট্রায়ালে যুক্ত হয়েছে বাংলা।

শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:০০
—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

বিসিজি টিকা দেওয়া হত ত্বকের উপরে। করোনা প্রতিরোধে ভারতে তৈরি জ়াইকোভ-ডি টিকাও ত্বকের উপরেই দেওয়া হবে। ওই দেশজ টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় ধাপের অনুমতি দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। সেই পরীক্ষার ক্লিনিক্যাল সাইটে বঙ্গের সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে আটটি হাসপাতালের নাম রয়েছে। করোনা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ব্যবহারের ছাড়পত্র পাওয়া কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাংসপেশিতে দেওয়া হয়।


প্রথমে দেশীয় কোভ্যাক্সিন, তার পরে রুশ স্পুটনিক-ভি টিকার তৃতীয় ট্রায়ালে যুক্ত হয়েছে বাংলা। এ বার সেই তালিকাতেই যুক্ত হল আমেদাবাদের জ়াইডাস ক্যাডিলা সংস্থার ‘জ়াইকোভ-ডি’। ডিএনএ-র মাধ্যমে তৈরি এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক গবেষণার প্রথম দু’টি পর্বে ভারতে এক হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবকের উপরে এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। তার ফলাফল খতিয়ে দেখেই কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি তৃতীয় ট্রায়ালের ছাড়পত্র দিয়েছে। সারা দেশে অন্তত ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে এই টিকা দেওয়া হবে।
বঙ্গের আটটি হাসপাতাল থেকে অন্তত ১০ হাজার জনের শরীরে এই টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে জানান রাজ্যে ভ্যাকসিন গবেষণার সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান ক্লিনিমেড লাইফ সায়েন্সের ব্যবসায়িক প্রধান স্নেহেন্দু কোনার। ‘‘এর আগে কলকাতায় এত বড় আকারে কোনও প্রতিষেধকের পরীক্ষা হয়নি। এর ফলে পূর্ব ভারতে ও আমাদের রাজ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নতুন অধ্যায় খুলে যাচ্ছে,’’ বলেন স্নেহেন্দুবাবু।


স্বাস্থ্য সূত্রের খবর, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রাজ্যের যে-আটটি হাসপাতালের নাম আছে, সেখানকার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটরদের সঙ্গে জ়াইডাস ক্যাডিলার প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছেন। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকার দু’টি ডোজ়। আমেদাবাদের টিকার তিনটি ডোজ় নিতে হবে। প্রথম টিকার ২৮ দিন পরে দ্বিতীয়টি। তারও ৫৬ দিন পরে তৃতীয়টি। ‘‘এটি ডিএনএ ভ্যাকসিন, তাই স্থায়িত্বও বেশি। শুধু দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নয়, ৩০ ডিগ্রিতেও তিন মাস ঠিক থাকবে জ়াইকোভ-ডি,’’ বলেন ক্লিনিমেড লাইফ সায়েন্সের অধিকর্ত্রী-চিকিৎসক স্বাতী দাশগুপ্ত।

আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখীর সোমবারের বাইক র‌্যালিতে অনুমতি নয়, জানাল লালবাজার


কলকাতায় জ়াইকোভ-ডি টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অন্যতম প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর, চিকিৎসক সৌরেন পাঁজা জানান, ডিএনএ ভ্যাকসিন সহজেই সংরক্ষণ করা যায়। এমআরএনএ ভ্যাকিসন শরীরে ঢুকে সরাসরি প্রোটিন তৈরি করে। ডিএনএ ভ্যাকসিন সেখানে কাজ করে এক ধাপ এগিয়ে। ‘‘সেটি শরীরে প্রবেশ করে প্রথমে এমআরএনএ তৈরি করে। তার পরে সেটি ট্রান্সমিটেড হয়ে তৈরি করে প্রোটিন। শরীরে এই প্রোটিনের বিরদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। জ়াইকোভ-ডি টিকা করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারবে,’’ বলেন সৌরেনবাবু। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য শুক্রবার শহরে এসে পৌঁছচ্ছে স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনও।

আরও পড়ুন: বাংলায় কত ভোট পাবে তৃণমূল? অভ্যন্তরীণ হিসেবে স্বস্তিতে ঘাসফুল

Zaikov-D Vaccine
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy