Advertisement
E-Paper

অ্যাপোলোর বিরুদ্ধে থানায় নালিশ করল সঞ্জয়ের পরিবার

স্বামী সঞ্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের অমানবিক আচরণ, বিল নিয়ে টালবাহানা এবং চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এ বার অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ডানকুনির রুবি রায়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৪:০৭
অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে ফুলবাগান থানায় মৃত যুবক সঞ্জয় রায়ের স্ত্রী রুবি রায়। রবিবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে ফুলবাগান থানায় মৃত যুবক সঞ্জয় রায়ের স্ত্রী রুবি রায়। রবিবার। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

স্বামী সঞ্জয়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের অমানবিক আচরণ, বিল নিয়ে টালবাহানা এবং চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এ বার অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ডানকুনির রুবি রায়। রবিবার বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফুলবাগান থানায় এফআইআর দায়ের করেন তিনি।

ডানকুনির যুবক সঞ্জয়ের মৃত্যু নিয়ে অ্যাপোলো-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্য-কর্তাদের মনে হয়েছে, ওই যুবকের চিকিৎসায় যে ভাবে বিল তৈরি করা হয়েছে, তাতে কোনও গলদ রয়েছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এফআইআর দায়ের করবে বলেও নবান্ন থেকে শনিবারই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অ্যাপোলোকে সঞ্জয়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত সব নথি অবিলম্বে স্বাস্থ্য ভবনে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এফআইআর করতে সঞ্জয়ের পরিবার বিকেলে যখন কলকাতায়, সেই সময়েই অ্যাপোলো হাসপাতালের তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ডানকুনি থানায় হাজির হন। দলে ছিলেন একজন নিরাপত্তা অফিসার ও হাসপাতালের দুই কর্মী। তাঁরা সঞ্জয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য পুলিশের সাহায্য চান। থানা থেকে সঞ্জয়ের বাড়িতে ফোন করা হলে জানানো হয়, পরিবারের সকলেই কলকাতায় গিয়েছেন। তাই কারও সঙ্গে দেখা হবে না। এর পরে প্রতিনিধি দলটি থানা থেকেই ফিরে যায়।

আরও পড়ুন: ডাক্তার নেই, ফি আছে! বিলের অঙ্কে গোঁজামিল ঢাকতে তৎপর হাসপাতাল

রবিবার সকালেই শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ডানকুনির নন্দনকাননে সঞ্জয়ের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁর বাড়ির লোকজন হাসপাতালের গাফিলতির প্রসঙ্গটি তোলেন। পরিবারের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার সারা দিনই বিল নিয়ে টানাপড়েনে সঞ্জয়ের চিকিৎসার বিষয়টিই ভাল করে দেখা হয়নি। ওই দিন রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিন বিকেলে থানায় করা এফআইআর-এর বয়ান কী হবে, তা নিয়ে পরিবারের লোকেরা কল্যাণবাবুর পরামর্শও নেন।

কল্যাণবাবু পরে বলেন, “চিকিৎসার ক্ষেত্রেও নানা অমানবিক ব্যবহার করা হয়েছে ছেলেটির সঙ্গে। ওঁর বাড়ির লোকজন বললেন, সঞ্জয়ের হাত বেঁধে রাখা হয়েছিল।”

রাজ্য যাতে সঞ্জয়ের স্ত্রী-র একটি চাকরির ব্যবস্থা করেন, সে জন্য কল্যাণবাবুর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান মৃতের দিদি সীমা পাল। পুরো বিষয়টিই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলে কল্যাণবাবু রায় পরিবারকে আশ্বস্ত করেন।

Apollo Hospital Sanjay Roy Complaint Police Station
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy