নানা সাজে সেজেছেন এক দল তরুণ-তরুণী। তুলে ধরছেন মানুষ পাচারের বিভিন্ন অধ্যায়। পাচারের ফন্দি নিয়ে কী ভাষায় টোপ দেয় দুষ্ট চক্রের লোকজন, তাদের ফাঁদে পড়ে কী ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে হয়, পাচার হয়ে যাওয়া কাউকে উদ্ধার করে সমাজে ফিরিয়ে আনার পরে তার যন্ত্রণা— নাটকের মাধ্যমে এ-সবই তুলে ধরছেন ওই তরুণ-তরুণীরা।
মঞ্চে নয়। পুরোটাই চলছে একটি ছোট ক্যারাভান বা ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে। নারী ও শিশু পাচার নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের টুকরো এবং পাচার রোধে সতর্ক হওয়ার আবেদন লেখা পোস্টারে মোড়া সেই গাড়ি। মানুষ পাচারের বিরুদ্ধে আমজনতাকে সচেতন করতে এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি জায়গায় ঘুরবে ওই ক্যারাভান। যাবে ঝাড়খণ্ড-বিহারেও।
শুক্রবার রাজারহাটের ইকো পার্কে ক্যারাভানের উদ্বোধন করেন কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্রেগ হল এবং রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।
রাজ্য সরকার, কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও আমেরিকান কনস্যুলেটের উদ্যোগে চালু এই ক্যারাভান এক-একটি জায়গায় গিয়ে সেখানকার বাসিন্দাদের সামনে মানুষ পাচারের নানা বৃত্তান্ত তুলে ধরবে। থাকবে ভিডিও ক্লিপিংস, ছবিও। পাচারকারীরা কী ভাবে শিশু ও মেয়েদের টোপ দেয়, তা তুলে ধরা হবে অভিনয়ের মাধ্যমে। ৩০ মার্চ শুরু হবে ক্যারাভানের যাত্রা। ক্রেগ জানান, নারী ও শিশু পাচার বেড়েছে সারা বিশ্বেই। বিভিন্ন জায়গায় পাচারের ধরন এবং কারণ আলাদা, কিন্তু পাচার চক্রের ফাঁদে পড়া মানুষের যন্ত্রণা সর্বত্র একই। এই অপরাধ রুখতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেই জন্যই রাজ্য সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে নিয়ে সচেতনতা বা়ড়াতে চাইছে মার্কিন কনস্যুলেট।