Advertisement
E-Paper

এখনও সেই কণ্টকময় উদ্ভাবনী গবেষণার পথ

এই উদ্ভাবনী গবেষণা দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতটা সফল হতে পারে তা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি) দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসু। 

মধুমিতা দত্ত ও সুপ্রিয় তরফদার 

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৪১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

উদ্ভাবনী গবেষণার জন্য কেন্দ্র উৎসাহ দিচ্ছে। এ বিষয়ে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তৈরি করতে বলেছে পৃথক কাউন্সিল। কিন্তু এই উদ্ভাবনী গবেষণা দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতটা সফল হতে পারে তা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি) দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসু।

শুক্রবার কলকাতায় তিনি জানান, পরিকাঠামোর খামতি ও পাঠ্যক্রমের চাপ তো রয়েইছে, এখনও দেশের বহু জায়গায় ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যন্ত নেই। তার ফলে উদ্ভাবনী গবেষণায় দেশের সার্বিক সাফল্য আসতে এখনও অনেক দেরি বলেই তিনি মনে করছেন। অনুপমবাবুর মতে, দেশের গবেষণা তখনই সাফল্যের মুখ দেখে যখন গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিবিড় হয়। দেশের সর্বত্র যেমন ইন্টারনেট পরিষেবা উন্নত নয়, তেমনই পাঠ্যক্রমের চাপে গবেষণার কাজে মন দিতেও পড়ুয়ারা বিশেষ সময় পায় না। তাঁরা পাঠ্যক্রমের ভার অনেকটাই কমিয়েছেন। তবে তিনি এ-ও মনে করেন, পড়ুয়াদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিক্ষকদেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে দুর্গাপুর এনআইটি-তে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য একটি মিউজিয়াম তৈরি করা হয়েছে। স্কুলস্তর থেকে উদ্ভাবনী গবেষণার প্রতি আগ্রহ বাড়লে পরে তার সুফল মিলবে বলেই মনে করেন তাঁর মত।

কেন্দ্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে উদ্ভাবনী গবেষণার জন্য যে কাউন্সিল তৈরি করতে বলেছে তার লক্ষ্যই হল প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন পড়ুয়াদের উদ্ভাবনী গবেষণায় উৎসাহিত করা। সেই কাউন্সিল খোলার জন্য প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন এনআইটি দুর্গাপুর করে ফেলেছে। চলতি বছরের অগস্ট মাসে এনআইটি একটি ‘ইনোভেশন সেন্টার’ চালু করেছে।

এ বিষয়ে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ম্যাকাউট) উপাচার্য সৈকত মৈত্রের মত কিছুটা আলাদা। কেন্দ্রের নির্দেশ মতো উদ্ভাবনী কাউন্সিল তৈরির জন্য রেজিস্ট্রেশন তাঁরাও করে ফেলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের ভারও কমানো হয়েছে বলে তিনি জানান। সৈকতবাবুর দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে তখনই অনুমোদন দেওয়া হয় যখন সঠিক পরিকাঠামো থাকে। যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘পাঠ্যক্রমকেই এমন করে সাজাতে হবে, যার থেকে গবেষণার দিকে পড়ুয়ারা যেতে চান। এদেশে তার বেশ খামতি রয়েছে।’’ তিনি জানান, এ কারণেই যাদবপুরে প্রযুক্তি বিভাগের পাঠ্যক্রম সাজানোর যে প্রক্রিয়া চলেছে সে ক্ষেত্রে শিল্প মহলের মতকে তাঁরা বেশি গুরুত্ব দিছেন।

Durgapur Anupam Basu Innovative research দুর্গাপুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy