Advertisement
E-Paper

দুই বাহিনীর সমন্বয় নেই, রেল দুশ্চিন্তায়

ধর্মেন্দ্র চিঠিতে লিখেছেন, বোমাতঙ্ক, আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, পদপিষ্ট, জঙ্গিহানার মতো ঘটনার মোকাবিলার জন্যই এসওপি মেনে কাজ করা জরুরি। কমিটির সুপারিশ প্রথমে মুম্বই শহরের স্টেশনগুলিতে কার্যকর হবে। সাফল্য দেখে ভবিষ্যতে গোটা দেশে কার্যকর করার কথাও ভাবা হয়েছে, জানিয়েছেন ডিজি।

সোমনাথ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১৯
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

কার কী অধিকার, দুই সংস্থার নথিতে তা স্পষ্ট বলা আছে। তবু রেলের সম্পত্তি রক্ষা ও যাত্রী নিরাপত্তা দেখতে আরপিএফ (রেল সুরক্ষা বাহিনী) এবং জিআরপি (রেল পুলিশ)-এর মধ্যে সমন্বয় বার বার ধাক্কা খাচ্ছে। রেলকর্তাদের পর্যবেক্ষণ, কাজ করতে নেমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘ওভারল্যাপ’ করে যায়, যার জেরে দুই সংস্থার প্রায় সব স্তরেই ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। কার্যক্ষেত্রে কোনও স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর (এসওপি) না থাকায় সেই ধোঁয়াশা বেড়েই চলেছে। রেল মন্ত্রক এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে কমিটি গঠন করেছে।

রোগটা বহু দিনের হলেও কেন এখন নজর পড়ল? এলফিনস্টোন স্টেশনের দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি মহারাষ্ট্র রেলপুলিশ কর্তাদের চিঠি দেন আরপিএফ ডিজি ধর্মেন্দ্র কুমার। তার পরে রেল ও যাত্রী সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত দুই সংস্থার কাজকর্মে সমন্বয় নিয়ে রেলের অন্দরে প্রশ্ন ওঠে। রেলমন্ত্রী পীষূষ গয়াল মহারাষ্ট্রের পদস্থ রেলকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। তদন্তের পাশাপাশি দুই সংস্থার ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয় কমিটিকে। দুই সংস্থার জন্যই এসওপি তৈরি করতে বলা হয় কমিটিকে। ধর্মেন্দ্র চিঠিতে লিখেছেন, বোমাতঙ্ক, আইনশৃঙ্খলার সমস্যা, পদপিষ্ট, জঙ্গিহানার মতো ঘটনার মোকাবিলার জন্যই এসওপি মেনে কাজ করা জরুরি। কমিটির সুপারিশ প্রথমে মুম্বই শহরের স্টেশনগুলিতে কার্যকর হবে। সাফল্য দেখে ভবিষ্যতে গোটা দেশে কার্যকর করার কথাও ভাবা হয়েছে, জানিয়েছেন ডিজি।

রেলের এই উদ্যোগকে ভাল চোখে দেখছেন না এ রাজ্যের রেল পুলিশের কর্তারা। আরপিএফ কেন্দ্রীয় সংস্থা, আর জিআরপি রয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাতে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘রেলের নিরাপত্তা দেখাশোনার জন্য আরপিএফ নির্দিষ্ট আইন মেনেই কাজ করে। জিআরপি-ও ‘ম্যানুয়াল’ মেনে কাজ করে। তা হলে বিরোধ কোথায়?’’ তাই তাঁর মতে, ‘‘কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য বুঝতে পারছি না।’’

রাজ্য রেল পুলিশের এক কর্তার অভিযোগ, আসলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যগুলির উপর নানা ভাবে নজরদারি চালানোর চেষ্টা করছে। সে জন্য এখন রেলকে বেছে নিতে চাইছে কেন্দ্র। রেলের আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। আরপিএফ-র সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করা হয়। আরপিএফ-র এক কর্তার পাল্টা মত, রেলের নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব একটি সংস্থার হাতেই থাকা উচিত। তা হলে প্রতিদিন সমস্যা হবে না।

রেল Railway
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy