Advertisement
E-Paper

উপাচার্য নেই, সঙ্কটে বিশ্ববিদ্যালয়

ফিশারিজ, ভেটেরিনারি এবং ডেয়ারি টেকনোলজি— তিনটি বিভাগেরই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও  ফাইলে উপাচার্যের সই গুরুত্বপূর্ণ।

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:১৪
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

চারদিন ধরে রাজ্যের প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও উপাচার্য নেই। গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রাক্তন উপাচার্য পূর্ণেন্দু বিশ্বাসের মেয়াদ শেয হয়েছে। নিয়মমতো প্রাক্তন উপাচার্যের বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার কথা। শনিবার রাত পর্যন্ত নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ফিশারিজ, ভেটেরিনারি এবং ডেয়ারি টেকনোলজি— তিনটি বিভাগেরই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও ফাইলে উপাচার্যের সই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি না-থাকায় অনেক ছাত্রছাত্রীর গবেষণামূলক কাজ আটকে রয়েছে। পরের মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারীদের বেতন নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য চন্দ্রশেখর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওয়েস্টবেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব অ্যানিমাল অ্যান্ড ফিশারিজ সায়েন্স অ্যাক্ট ১৯৯৫ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় এক দিনের জন্যও উপাচার্যহীন থাকতে পারে না। চার দিন ধরে উপাচার্য না-থাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকারের অবহেলারই প্রমাণ!’’ এই বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্য প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের অধীনস্থ। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, মাস তিনেক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠকে প্রাক্তন উপাচার্য পূর্ণেন্দুবাবুর নাম ফের মনোনয়ন করে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরে পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, ইসির বৈঠকে তিনজনের নাম দফতরে পাঠানোর কথা। শুধুমাত্র পূর্ণেন্দুবাবুর নাম পাঠানোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ শিক্ষক ঘোরতর আন্দালনে নামেন। দফতর সূত্রের খবর, কয়েক জন শিক্ষকদের চাপে পড়ে পূর্ণেন্দুবাবুর নাম ফেরাতে বাধ্য হন বিভাগীয় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। নিয়ম অনুযায়ী, ইসির বৈঠকে মনোনীত উপাচার্য পদের প্রার্থীর নামে চূড়ান্ত সিলমোহর দেন মন্ত্রী। রাজ্যপাল তাতে স্বাক্ষর করেন। দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘রাজ্যপালের কাছে নাম পাঠাতে দেরি হওয়ায় উপাচার্য পদে নিয়োগে দেরি হচ্ছে।’’ এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী স্বপনবাবুকে ফোন বা এসএমএস করা হলে উত্তর মেলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসক দলের অনুগামী শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপা-র আহ্বায়ক শুভাশিস বটব্যালের অভিযোগ, ‘‘নানা বঞ্চনার অভিযোগে মাস দেড়েক ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বিভাগের ১৫০ জন শিক্ষক পঠনপাঠন বন্ধ রেখেছেন। মন্ত্রী সব জানেন। কিন্তু কিছু করেননি। উপাচার্য না-থাকাতেও সরকারের উদাসীনতাই প্রমাণ হচ্ছে।’’

WB Animal And Fisheries University Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy