সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
রামমন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে বিজেপির ‘আত্রেয়ী নদী-পুজো’ কর্মসূচি ঘিরে বিতর্ক ছড়াল। সোমবার বিজেপির ওই অনুষ্ঠানে ‘ড্রোন’ ক্যামেরার আঘাতে এক মহিলা-সহ তিন জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে এক জন সাংবাদিকও রয়েছেন। বিনা অনুমতিতে, বিনা প্রশিক্ষণে কী ভাবে ঘাটভর্তি লোকের মাঝে ড্রোন ওড়ানো হচ্ছিল, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আরও অভিযোগ, বিপজ্জনক ভাবে সেখানে বাজি ফাটানো হচ্ছিল পুলিশের সামনেই। যদিও, পুলিশ আধিকারিকেরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ঘটনাটি দুঃখজনক।’’
জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল বলেন, ‘‘আমরা খোঁজ করে দেখছি, কারা কী ভাবে ওখানে ড্রোন ওড়াল।’’ এ দিন আত্রেয়ীর সদর ঘাটে নদী-পুজোর অনুমতি নেওয়া হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু ড্রোন ওড়ানোর কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এ দিন সন্ধের পরে ঘাটে আসেন সুকান্ত। তিনি সেখানে থাকাকালীনই ওই ঘটনা ঘটে। ঘাটে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা বলেন, ‘‘ওই যন্ত্রটি ঠিকমতো ওড়ানো যাচ্ছিল না। কখনও কানের কাছে নেমে আসছিল, কখনও হঠাৎ উঠে যাচ্ছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ করে যন্ত্রটি নেমে আসে।’’ তিনি জানান, এক সাংবাদিকের কপালে, নাকে লাগলে গুরুতর আহত হন তিনি। ড্রোনটি ছিটকে আর একজন বিজেপি সমর্থকের কানে গিয়ে লাগলে, কান কেটে যায়। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
কারা ‘ড্রোন’ ওড়াচ্ছিলেন? বিজেপির দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি জানি না কে ওড়াচ্ছিলেন। দায়িত্বে ছিলাম না।’’ বিজেপি সূত্রে অবশ্য দাবি, দলের তরফে ‘ড্রোনের’ কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। তবে কি সাধারণ মানুষ কেউ ড্রোন উড়িয়েছিলেন? পুলিশ অবশ্য দুর্ঘটনা ঘটানো ‘ড্রোনটি’ বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি। কে ‘ড্রোন’ ওড়াচ্ছিলেন, তা-ও বলতে পারেনি। জেলা তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘অবিলম্বে পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, কার ড্রোন, কে ওড়াচ্ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy