বাড়ির বাইরে বেরোলেই বায়না মুন্নির। কখনও চকোলেট, কখনও খেলনা, কখনও সাজগোজের জিনিস। বাবা-মা বুঝে উঠতে পারেন না কী ভাবে মেয়েকে ‘না’ বলবেন।
মনোবিদ মোনালিসা ঘোষ জানালেন, ছোটদের এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। তাঁর কথায়, ‘‘সন্তান যখন ছোট, তখনই বাবা-মাকে না বলাটা অভ্যাস করতে হবে। তাহলে বাচ্চাও অযথা বায়না করবে না।’’
ব্যস্ততার জন্য হয়তো আপনি শিশুকে সময় দিতে পারছেন না। আর সেই অভাবটা পূরণ করছেন ও যা চাইছে তাই কিনে দিয়ে। এতে কিন্তু বাচ্চা প্রশ্রয় পায়।
কেন ‘না’ বলছেন বুঝিয়ে দিন। আপনার অবস্থানটা সন্তানের কাছে পরিষ্কার করা জরুরি। ওকে বোঝান, তার ভালর জন্যই বারণ করা হচ্ছে।
ছোটরা কী বলছে সেটা শোনাও জরুরি। ওর চাহিদার পিছনে যুক্তিটা কী বুঝুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন।
সন্তানকে ‘অপশন’ দিতে পারেন। খেলনা চাইলে বলবেন, ‘খেলনা নেবে, না একটা বই কিনবে?’ চেষ্টা করুন ওর চাহিদাটা ‘পজিটিভ’ করতে।
এমন কিছু বিষয় যা বাড়িতে করা হয়, অথবা আপনি নিজে করেন, সে ব্যাপারে সন্তানকে ‘না’ বলার ক্ষেত্রে সাবধানী হোন। কেন সেটা অন্যদের ক্ষেত্রে ‘হ্যাঁ’ আর ওর ক্ষেত্রে ‘না’, সেই ফারাকটা বুঝিয়ে দিন।
সব বিষয়েই ‘না’ বললে উল্টো বিপত্তি হবে। শিশু আপনার কোনও কথাই শুনতে চাইবে না। শিশুর দরকারি জিনিস ওকে পছন্দ করে কিনতে দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy