Advertisement
E-Paper

নিখোঁজ মা পালিয়েছিলেন প্রেমিকের বাড়ি!

জানা গিয়েছে, প্রেমিকের টানেই মেয়েকে নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন সুমন। শুক্রবার নাগেরবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় সুমন এবং তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে তনিশাকে। গ্রেফতার করা হয়েছে সুমনের প্রেমিক মৃণাল মায়াঙ্ককে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৮ ২১:১২
উদ্ধার হওয়ার পর আদালতে।— নিজস্ব চিত্র ।

উদ্ধার হওয়ার পর আদালতে।— নিজস্ব চিত্র ।

পরিকল্পনায় কোথাও ফাঁক ছিল না। কিন্তু অ্যাপ ক্যাব নিজে বুক না করে গোড়াতেই গলদ করেছিলেন টিটাগড়ের সুমন। যে ফোন থেকে অ্যাপ ক্যাব বুক করা হয়েছিল, সেই বুকিংয়ের সূত্র ধরেই হদিশ মিলল সুমন স্বর্ণকার ও তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে তনিশার।

জানা গিয়েছে, প্রেমিকের টানেই মেয়েকে নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন সুমন। শুক্রবার নাগেরবাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় সুমন এবং তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে তনিশাকে। গ্রেফতার করা হয়েছে সুমনের প্রেমিক মৃণাল মায়াঙ্ককে।

গত রবিবার, ২৪ জুন টিটাগড়ের বৌবাজার এলাকার বাসিন্দা সুমন, তাঁর মেয়ে তনিশাকে নিয়ে কলকাতা স্টেশনে যাওয়ার জন্য রওনা হন। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের পটনা এক্সপ্রেস ধরে গিরিডিতে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সুমনের।

টিটাগড়ের বাপের বাড়ি থেকে অ্যাপ ক্যাব চড়ে মা-মেয়ে রওনা হলেও রাত ৯টা থেকেই সুমনের ফোন ছিল বন্ধ। পরের দিন ভোরবেলা গিরিডিতেও তাঁরা না পৌঁছনোয় টিটগড় থানায় অভিযোগ জানান সুমনের পরিবার।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, রবিবার রাত ৮টার সময় তনিশা মায়ের ফোন থেকে মামা সুনীলকে ফোন করে জানায় যে তাঁরা ট্রেনে উঠে গিয়েছেন। অথচ, বাস্তবে সুমনের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন থেকে জানা যায়, রবিবার নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছেড়ে দেওয়ার পরও কলকাতা স্টেশনেই ছিলেন সুমন।

সুমনের পরিবারের কাছ থেকেই জানা যায়, সে দিন অ্যাপ ক্যাবে স্টেশনে গিয়েছিলেন সুমন। সেই অ্যাপ ক্যাবের সংস্থায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুমনের মোবাইল থেকে সে দিন অ্যাপ ক্যাব বুক করা হয়নি। রবিবার ওই সময়ে টিটাগড় থেকে যে যে ক্যাব কলকাতা স্টেশন গিয়েছিল, সেই তালিকা বের করেই একটি সম্ভাব্য ফোন নম্বরের হদিশ মেলে। আর সেই ফোনটিও রবিবার সুমনের ফোনের সঙ্গে সঙ্গেই সুইচড অফ হয়ে গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই হদিশ মেলে এই মৃণাল মায়াঙ্কের।

আরও পড়ুন: পণের চাপ, স্বামীর অন্য সম্পর্ক, মানিকতলায় উদ্ধার বধূর দেহ

আরও পড়ুন: বাস দুর্ঘটনা রুখতে কমিশন বন্ধের নির্দেশ

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই স্বামী রাজেশের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক চলছিল সুমনের। আর তারই মাঝে মৃণালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁর। সুমন বাড়ি ছাড়ার প্রায় দশ দিন আগে থেকেই ব্যারাকপুর এলাকায় একটি হোটেলে ওঠে মৃণাল। এই সময়ে দু’জনে একাধিক বার দেখাও করে এবং পালানোর ছক তৈরি করে। রবিবার সুমন গিরিডি যাওয়ার নাম করেই বাড়ি থেকে বেরোয়। কিন্তু কলকাতা স্টেশনে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল মৃণাল। তাঁরা সেই রাতেই অন্য ট্রেন ধরে মৃণালের ছাপরার বাড়ি যান। কিন্তু ইতিমধ্যে কলকাতায় গোটা বিষয় নিয়ে থানা-পুলিশ হয়ে যাওয়ায় ভয় পেয়ে যান দু’জনেই। ফিরে আসেন কলকাতায়। আর তখনই পুলিশ হদিশ পায় নিখোঁজ মা-মেয়ের।

CRIME MISSING APP CAB TITAGARH
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy