Advertisement
E-Paper

‘হুইপ’ সত্ত্বেও গরহাজির কারা? নামের তালিকা তৈরি করছে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি

অনুপস্থিত বিধায়কদের নামের তালিকা খতিয়ে দেখার পর প্রথমে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। তার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ১৫:৩৮
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

রাজ্য বিধানসভায় সদ্যসমাপ্ত বাজেট অধিবেশনের শেষ দু’দিনে মন্ত্রী ও বিধায়কদের অনুপস্থিতি নিয়ে বিধানসভায় বৈঠক হল তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির। বৈঠকে ছিলেন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ওই দু’দিন ‘হুইপ’ সত্ত্বেও যে সব নেতা অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের নামের তালিকা খতিয়ে দেখে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।

সোমবারের বৈঠকের পর জানানো হয়েছে, অনুপস্থিত বিধায়কদের নামের তালিকা খতিয়ে দেখার পর প্রথমে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। তার ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করা হবে। বিশেষত, অধিবেশনের শেষ দিনে বেশ কয়েক জন মন্ত্রী দলের ‘হুইপ’ না মেনে অনুপস্থিত ছিলেন। সেই বিষয়টি নজরে এসেছে পরিষদীয় দলের। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। হুইপ যাঁরা অমান্য করেছেন, তাঁদের কমিটির সামনে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে। তার পর চলতি মাসের ২৯ তারিখে ফের বৈঠকে বসবে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। বৈঠকে কমিটির সব সদস্য উপস্থিত থাকবেন। চেয়ারম্যান শোভনদেবের নেতৃত্বে ওই কমিটির অন‍্য সদস্যেরা, তথা নির্মল, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকের পর জানানো হবে সিদ্ধান্ত।

সোমবার বৈঠকের পর পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব বলেন, ‘‘কত জন অনুপস্থিত ছিলেন, তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এর পর বিধায়কদের ডেকে পাঠানো হবে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ অন্য দিকে, নির্মল বলেছেন, “দলীয় শৃঙ্খলা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই এ বিষয়ে এখনই প্রকাশ্যে কিছু জানাব না। যথা সময়ে অনুপস্থিত বিধায়কদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দু’দিনে বিধায়কদের হাজিরা নিশ্চিত করতে তিন লাইনের ‘হুইপ’ জারি করেছিল তৃণমূল। সংসদে বা বিধানসভায় ‘হুইপ’ জারি করার অর্থ, দলীয় বিধায়কদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া। ‘হুইপ’ জারির পরেও কেউ অনুপস্থিত থাকলে, এবং অনুপস্থিতির সাপেক্ষে সন্তোষজনক কারণ না দেখাতে পারলে সংশ্লিষ্ট সাংসদ বা বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। তেমনই, পরিষদীয় দলের তরফে তৃণমূলের সব বিধায়ককে জানানো হয়েছিল, অধিবেশনের শেষ দু’দিন, অর্থাৎ ১৯ ও ২০ মার্চ সকলকে অধিবেশনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। গত বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকায় সেই ‘হুইপ’ দলের সিংহভাগ বিধায়ক মেনে নেন, কিন্তু বৃহস্পতিবার তা মানেননি দলের বিধায়কদের বড় অংশ। ওই দু’দিনে চারটি বিল পাশ হলেও বিধায়কদের উপস্থিতির হার ছিল বেশ কম। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, হুইপের প্রথম দিন ২১২ জন তৃণমূল বিধায়কের অধিকাংশ অধিবেশনে যোগ দিতে এলেও বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনে ৫০-রও বেশি বিধায়ক অনুপস্থিত থেকে দলীয় হুইপ অমান্য করেন। এ প্রসঙ্গে রবিবারই নির্মল জানিয়ে দেন, তাঁর দফতর থেকে অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সোমবারের বৈঠকে অনুপস্থিত তৃণমূল বিধায়কদের ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন নির্মল। সেই বৈঠকই হল সোমবার।

তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘হুইপ না মানলে সদস্যপদ চলে যাওয়ার আইন আছে, কিন্তু সেটা কি হবে? বিধানসভায় সার্কাস চলছে। দিদিকে বলব, সেই সার্কাসের সরাসরি সম্প্রচার করা হোক টিভিতে!’’

TMC MLA Whip Budget session Nirmal Ghosh Sovandeb Chattopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy