অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার ভাইপোর বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়িতে ওই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে। পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের ভাইপোর টোটো করে মাঝেমধ্যেই স্কুলে যেত ওই স্কুলছাত্রী। অভিযোগ, সম্প্রতি চকোলেট খাওয়ানোর কথা বলে ওই নাবালিকাকে তিস্তা উদ্যান এলাকায় নিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেখানে চকোলেটের সঙ্গে মাদক জাতীয় কিছু মিশিয়ে নাবালিকাকে বেহুঁশ করে অভিযুক্ত তাকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ।
ছাত্রীর দাদুর অভিযোগ, ‘‘কয়েক দিন ধরেই মনমরা হয়ে থাকত মেয়েটা। শুক্রবার ওর মা কারণ জানতে চেয়েছিল। তখনই সব কথা বাড়িতে জানায় নাতনি। অভিযুক্ত টোটোচালকের কাকা গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। আমরা অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’
ছাত্রীর দিদাও বলেন, ‘নাতনির স্কুল ব্যাগ গোছাতে গিয়ে আঁতকে উঠেছিল আমার মেয়ে। দেখে প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট রয়েছে ওর ব্যাগে। কী ভাবে ওর ব্যাগে এই কিট এল, তা জানতে চাওয়ায় নাতনি জানায়, টোটোচালক যৌন নিগ্রহের পর এই কিট দিয়েছে। আমার নাতনির জীবন শেষ করে দিল!’’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, ‘‘এ রাজ্যে যত দিন তৃণমূলের সরকার থাকবে, তত দিন ধর্ষণ সাধারণ ব্যাপার হয়েই থাকবে। অভিযুক্তের কাকা তৃণমূলের নেতা বলেই ওরা এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করার সাহস পায়।’’
তৃণমূলের জেলা সম্পাদক বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘অভিযুক্তের কাকা আমাদের দল করেন। ভাইপো আমাদের কেউ নয়। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করি। তাই এ সব একদম বরদাস্ত করি না। আমাদের বিশ্বাস, পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করাবে।’’