প্রতীকী চিত্র।
রবিবার ভর দুপুরে গুলি করে খুন করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে। গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যও। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং গোলাবাড়ি এলাকায়।
এ দিন বিকেলে তৃণমূল যুব কর্মীদের আয়োজনে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল ক্যানিং বাস স্ট্যান্ডে। সেই সভাতেই মিছিল করে আসছিলেন গোলাবাড়ি এলাকার তৃণমূল যুব কর্মীরা। অভিযোগ, সেই মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময়তেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় তৃণমূলেরই অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে।
অভিযোগ, দু’পক্ষই এলোপাথাড়ি গুলি বোমা চালাতে শুরু করে। আর সেই সংঘর্ষের মাঝেই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় ১৮ বছরের মিজানুর সর্দার। গোলাবাড়ির বাসিন্দা আরও দুই তৃণমূল কর্মী সেখ মুসা এবং গিয়াসুদ্দিন হালদারও গুলিবিদ্ধ হয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: কলকাতার আরবান নকশালদের মধ্যেই লুকিয়ে পরবর্তী মাওবাদী নেতৃত্ব, দাবি গোয়েন্দাদের
দু’পক্ষই অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে হামলার জন্য। তাঁরা পুলিশকেও দায়ী করেছেন। গোলাবাড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান খতিপ সর্দার অভিযোগ করেন, “আমি আঁচ করছিলাম এ রকম কিছু হবে। তাই পুলিশ কে আগেই সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ সময় মত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নি।” এর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া শুরু করে। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের তরফে জানানো হয়েছে আরএসএস-বিজেপির মদতেই এই হামলা চালিয়েছে এক দল দুষ্কৃতী।
আরও পড়ুন: মৃত ছাত্রদের পরিবারকে নিয়ে দিল্লি দরবারে বিজেপি, কলকাতায় রাজনাথের দ্বারস্থ রাহুলরা
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরপেতে চোখ রাখুন আমাদেররাজ্যবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy