প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা ভোটে দলের টিকিট পেতে গেলে লোকসভা ভোটে নিজের কেন্দ্রে জিততে হবে তৃণমূলের বিধায়কদের। বিধানসভা ভোটের প্রায় তিন বছর আগেই দলীয় বিধায়কদের জন্য এই শর্ত দিল শাসকদল। পঞ্চায়েত ভোটে কয়েকটি জেলায় অপ্রত্যাশিত ধাক্কা খাওয়ার পর জেলায় জেলায় এই বার্তা দিতে শুরু করেছেন দলীয় নেতৃত্ব।
পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলা পরিষদ হাতে এলেও নিচের তলা বহু জায়গায় কঠিন চ্যালেঞ্জর মুখে পড়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতি আর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটা বড় অংশে ভেঙে গিয়েছে জনভিত্তি। যেহেতু এই দুই স্তরে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সাধারণ ভোটারের যোগাযোগ বেশি থাকে তাই পরবর্তী ভোট নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে শাসকদলের মাথারা। তাই এখন থেকেই বিধায়কদের দায়দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে দিতে চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘সাংগঠনিক শক্তির মাপকাঠিতেই তো যোগ্যতা নির্ধারণ করতে হবে। আমরা কেউই এই পরীক্ষার বাইরে নই। তাই লোকসভা ভোটেই সেই সাংগঠনিক শক্তির পরীক্ষা দিতে হবে আমাদের।’’ প্রসঙ্গত, তৃণমূলের নির্বাচনী সংগঠনের কাঠামো মূলত বিধানসভাকেন্দ্রিক। বিধায়কেরাই সংশ্লিষ্ট কমিটির চেয়ারম্যান। তাই লোকসভা নির্বাচনে এই শক্তি পরীক্ষায় তাঁদের বসতে হবে। যেখানে বিধায়ক নেই সেখানে শেষ বিধানসভা ভোটে দলের প্রার্থীরা এই দায়িত্বে আছেন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠকে জেলা স্তরের বৈঠকে এ কথা জানাতে শুরু করেছেন পার্থও।
আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক জায়গায় দলীয় বিধায়কদের ‘কাজকর্মে’র ছাপ পড়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল। সকলে না হলেও তাঁদের অনেকেই পঞ্চায়েতে ‘নিজের লোক’ রাখতে গিয়ে ফল খারাপ করেছেন। জেলা পরিষদে না পারলেও নীচের দুই স্তরে অনুগতদের প্রার্থী করে উপযুক্ত নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত করেছেন। তাতে ফল খারাপ হয়েছে তাই নয়, একটা বিক্ষুব্ধ অংশ তৈরি হওয়ায় সংগঠনের ক্ষতি করেছে। আবার কেউ কেউ নিজের নির্বাচন না হওয়ায় পঞ্চায়েত ভোট থেকে দূরে থেকেছেন। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে এইরকম জেলাভিত্তিক বিধানসভা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল তিন স্তরে পঞ্চায়েত পরিচলনায় পদাধিকারী বাছাই করতে চলেছে লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই। পার্থের কথায়, ‘‘এখন থেকেই লোকসভা ভোটের জন্য কাজ শুরু করতে চাইছি আমরা।’’
এ মাসেই পঞ্চায়েতের বিজয়ী, পরাজিত, নির্দল সহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সকলকে নিয়ে রাজ্য স্তরে সভা করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নির্দল হিসেবে উঠে আসা অংশ প্রায় সমান্তরাল সংগঠনের চেহারা নিয়েছে। এই অংশকে দ্রুত মূলস্রোতের সঙ্গে জুড়তে শীর্ষ নেতারা তৎপর হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy