Advertisement
E-Paper

আজ মিটতে পারে টয় ট্রেনের সমস্যা

ঘুম-দার্জিলিং শাখায় বাষ্পচালিত ইঞ্জিন দিয়ে টয় ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ ১১ নভেম্বর থেকে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ঠিকাদার সংস্থাকে বাতিল করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে। হয়তো মিটে যাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:১৬
থমকে:  দাঁড়িয়ে রয়েছে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনগুলো। নিজস্ব চিত্র

থমকে: দাঁড়িয়ে রয়েছে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনগুলো। নিজস্ব চিত্র

পুরোদমে চলছে পর্যটনের মরসুম। এর মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে তিন সপ্তাহ বন্ধ রয়েছে টয় ট্রেনের বাষ্পচালিত ট্রেন পরিষেবা। ঠিকাদার বদল করে মঙ্গলবার থেকে সমস্যা মিটতে পারে বলে রেল সূত্রে ইঙ্গিত। তবে তা সোমবার পর্যন্ত ঠিক হয়নি।

ঘুম-দার্জিলিং শাখায় বাষ্পচালিত ইঞ্জিন দিয়ে টয় ট্রেনের যাতায়াত বন্ধ ১১ নভেম্বর থেকে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ঠিকাদার সংস্থাকে বাতিল করে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে। হয়তো মিটে যাবে। পর্যটকদের অনেকেই তিন সপ্তাহ ধরে চড়তে পারেননি ঐতিহ্য মণ্ডিত বাষ্পচালিত ইঞ্জিনে চলা টয় ট্রেনে। এর আগেও বাষ্পচালিত ইঞ্জিন শ্রমিকদের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তা এত দিন গড়ায়নি।

দার্জিলিং ঘুম শাখায় ৬টি ইঞ্জিনে ঠিকাদার নিযুক্ত ১০ জন শ্রমিক কাজ করেন। মাইনের দাবি নিয়ে গত ১১ নভেম্বর থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তাঁরা।

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের অধিকর্তা এমকে নার্জারি বলেন, ‘‘রেলের সঙ্গে কোনও ঝামেলা ছিল না শ্রমিকদের। সমস্যা মেটানোর জন্য একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা কয়লাও জোগাতে শুরু করেছি।’’ এ দিনই শিলিগুড়ি থেকে ট্রাকে করে কয়লা পৌঁছনো হয় দার্জিলিংয়ে। প্রায় ১২ ঘণ্টা কয়লা দিয়ে ইঞ্জিনের কুঠুরিতে আগুন লাগিয়ে রাখলে ট্রেন চলার মতো প্রয়োজনীয় বাষ্পশক্তি তৈরি হয়। রেল সূত্রে খবর, সোমবার থেকেই বাষ্প তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। কার্শিয়াং এবং শিলিগুড়ি থেকে চলা ট্রেনে কোনও সমস্যা ছিল না। তবে সেগুলি বাষ্পচালিত ইঞ্জিন দিয়ে কমই চালানো হয়।

ঘুম থেকে দার্জিলিংয়ের জয় রাইডের রুট লাভজনক। পর্যটনের মরসুমে চাহিদা থাকলে দিনে বাষ্প এবং ডিজেল মিলিয়ে ১২টি পর্যন্ত ইঞ্জিন চলে। বাষ্পের ইঞ্জিনগুলিতে কাজ করেন ঠিকাদার নিযুক্ত ১০ জন শ্রমিক। পাহাড়ের কয়লা শ্রমিকদের দাবি, তাদের মজুরি ছিল ৩৬৬ টাকা করে ছিল। কিন্তু নতুন ঠিকাদার নিযুক্ত হওয়ার পর শ্রমিকদের স্থানীয় সংগঠন দাবি করে, তাদের রোজ ৬০০ টাকা হিসেবে মজুরি দিতে হবে। রেলের কয়লা শ্রমিক মানু রাই বলেন, ‘‘প্রতি বছরই চুক্তি নতুন হওয়ার সময় আমাদের মাইনে বাড়ানো হয়। কিন্তু নতুন ঠিকাদার তা করতে চাইছিল না। তাই সমস্যা ছিল।’’ শ্রমিকদের দাবি, নতুন ঠিকাদারের সঙ্গে এক দফা আলোচনার পরে কিছুটা আশ্বাস মিলেছে। তবে তা চূড়ান্ত হওয়ার কথা মঙ্গলবার সকালে।

Toy Train Darfjeeling
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy