হকারদের বিক্ষোভে বর্ধমান কর্ড লাইনে ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত। —নিজস্ব চিত্র।
আরপিএফের ‘অত্যাচারের’ অভিযোগে দিনভর দফায় দফায় হকারদের বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ডানকুনি স্টেশন চত্বর। রেললাইনের উপর শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বহু হকার। এর জেরে বুধবার সন্ধ্যায় বর্ধমান কর্ড শাখায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর অবরোধ উঠে যায়।
ঘটনার সূত্রপাত, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ। আরপিএফের হাতে এক জন হকারকে আটক করাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ডানকুনি স্টেশন চত্বরে। হকারদের অভিযোগ, ওই হকারকে আটক করে জরিমানা করা ছাড়াও তাঁকে আরপিএফের হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। ওই অভিযোগকে ঘিরে সকাল থেকেই দফায় দফায় ডানকুনি স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন হকার ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ চলাকালীন হকার ইউনিয়নের কর্মীরা আরপিএফ সহায়তা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালান বলেও অভিযোগ।
বুধবার সন্ধ্যায় আরও এক দফা বিক্ষোভ শুরু হয়। আরপিএফের অত্যাচারের অভিযোগ করতে থাকেন হকারেরা। বিক্ষোভকারীদের অনেকে রেললাইনের উপর শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন। এর জেরে বর্ধমান কর্ড শাখায় ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি, হাওড়া স্টেশনেও বিক্ষোভের প্রভাব দেখা গিয়েছে। হাওড়ায় ডাউন ট্রেন অপ্রতুল হওয়ায় আপ ট্রেন ছাড়ার ব্যবস্থা করতে পারছে না রেল। তবে রেল এবং যাত্রীসুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই বিক্ষোভের মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে প্রচুর আরপিএফ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। হাওড়া ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি কমিশনার অসীম মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের লোকেরা কোনও বেআইনি কাজ করেননি। আরপিএফের কোনও কর্মী যদি বেআইনি কাজ করে থাকেন, তা হলে তাঁর চাকরি পর্যন্ত চলে যেতে পারে। আমরা যাত্রীদের সব রকম সুযোগসুবিধা দিতে চাই। কিন্তু হকাররা আমাদের অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছেন। আমার গাড়িও ভাঙচুর করেছেন। ট্রেন অবরোধ করে রেখেছেন। কোনও আরপিএফ কর্মীর বিরুদ্ধে অত্যাচার বা টাকা নেওয়ার অভিযোগ থাকলে তা লিখিত ভাবে অভিযোগ করুন। তার তদন্ত হবে। কিন্তু বিক্ষোভ বা রেল অবরোধ করে যাত্রীদের সমস্যায় ফেলা বরদাস্ত করা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy