— নিজস্ব চিত্র।
দু’টুকরো তৃণমূল কর্মীর দেহ। ধড় পাওয়া গেল রেল স্টেশনের ধারে। আর সেখান থেকে বেশ কিছুটা দূরে ঝোপজঙ্গলের মধ্যে পাওয়া গেল মুণ্ড। বুধবার এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগরি পুরশুড়ায়। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও।
বুধবার সকালে পুরশুড়ার সোদপুর রাউতারা গ্রামের বাসিন্দা শেখ মহম্মদ রফিক ওরফে সাহেব (২৯)-এর দেহ পাওয়া যায় হাওড়া-আরামবাগ রেলপথের তোকিপুর রেল স্টেশনের কাছ থেকে। সেখান থেকে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে ঝোপজঙ্গল থেকে পাওয়া যায় সাহেবের মুণ্ড। এই ঘটনা ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে। সাহেবের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ফোনে সাহেব কথা বলেন তাঁর মায়ের সঙ্গে। তাঁর পরিবারের দাবি, সেই সময় তিনি তোকিপুরে রয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তোকিপুরে থাকাকালীন সাহেবের সঙ্গী ছিলেন শুভাশিস ভৌমিক নামে তাঁর এক বন্ধু। তাঁরা একসঙ্গেই বেরিয়েছিলেন বাইক নিয়ে। শুভাশিসের দাবি, রাত ১২টা নাগাদ তিনি সাহেবকে তোকিপুরে নামিয়ে দিয়ে চলে যান।
সাহেবের স্ত্রী সুন্দরী বেগম জানিয়েছেন, তোকিপুর এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সাহেবের। সুন্দরীর দাবি, ওই তরুণীর সঙ্গে মঙ্গলবার অশান্তি হয়েছিল সাহেবের। তাঁর মৃত্যুর জন্য ওই তরুণীকেই দায়ী করেছেন সুন্দরী।
অন্য দিকে, এই মৃত্যরহস্য ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতর। তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান জয়দেব জানার অভিযোগ, বিজেপি ‘হিংসার রাজনীতি’ করছে। তারাই ‘সক্রিয় তৃণমূল কর্মী’ সাহেবকে খুন করেছে বলে অভিযোগ জয়দেবের।
এ নিয়ে পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। তবে এই মৃত্যুর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। বিজেপি হিংসার রাজনীতি করে না।’’ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই তরুণী এবং সাহেবের বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy